নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার পর রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালিয়ে আটটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে রাজউক।
এছাড়া নিয়ম না মেনে তৈরি করায় একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং একটি রেস্তোরাঁয় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউকের অথোরাইজড অফিসার এহসান আহমেদ।
তিনি বলেন, সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজউকের কর্মকর্তারা ওই ভবনে গিয়ে অভিযান শুরু করেন। শুরুতে ভবনের ছাদে থাকা একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে দেওয়া হয়। ভবনের নকশা অনুযায়ী ওই রেস্তোরাঁ থাকার কথা নয়।
গাউসিয়া টুইন পিক নামের ওই ভবনে রয়েছে এক ডজনেরও বেশি রেস্তোরাঁ, অথচ আইন অনুযায়ী সেখানে রেস্তোরাঁ বসানোর সুযোগ নেই।
ভবনটি ১৫০ ফুট উচ্চতায় নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হলেও অবৈধভাবে ৪০ ফুট বাড়ানো হয়েছে বলে রবিবারের রাজউকের পরিদর্শনে উঠে আসে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হওয়ার পর স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের অনিয়মের কথা জানিয়ে সেখানে ভোক্তাদের যেতে নিষেধ করেন।
এই স্থপতি বলেন, তিনি গাউসিয়া টুইন পিকের নকশা করলেও ভবনটি সেভাবে ব্যবহার হচ্ছে না।
এরপর রোববার ভবনটি পরিদর্শন করে রাজউকের অঞ্চল-৫ এর পরিচালক মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, এক তলা বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনটির অকুপেন্সি টাইপ এফ-১। অর্থাৎ ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, রেস্তোরাঁ নয়।
ভবনটির দ্বিতীয় এবং ১৩তম তলায় দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বাকি ফ্লোরগুলোয় দোকান এবং ১৫টি রেস্তোরাঁর জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিও রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ছিল না রাজউক আইন অনুযায়ী। কিন্তু আট তলা ভবনে ১৪টি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ ছিল।
রাজউক অফিস হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিলেও সিটি করপোরেশন সেখানে রেস্তোরাঁগুলোকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়। নিয়ম ভাঙার বিষয়গুলো সামনে আসে ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের পর।
ধানমন্ডির সাত মসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবন রাজউক কর্মকর্তারা বলছেন, গাউসিয়া টুইন পিকেও একই অনিয়ম হয়েছে। সেখানে রাজউক আইন অনুযায়ী রেস্তোরাঁ বসানোর সুযোগ না থাকলেও সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে, ছাড়পত্র মিলেছে কলকারখানা অধিদপ্তরের এবং ফায়ার সার্ভিস থেকেও।
এদিকে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের বিভিন্ন অনিয়ম পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুপুরের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানিয়েছেন, এ অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.জাহাঙ্গীর আলম।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply