December 14, 2024, 6:02 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন ঢাকা মহানগর শাহ্আলী থানা শাখার উদ্যোগে কবিতা আবৃত্তি ও কবি আড্ডা অনুষ্ঠিত। ভালুকায় তারুণ্যের উৎসব সাংবাদিকদের কাজের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের। পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনী তুলে ধরতে হবে…..বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকীতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ভালুকায় চোরকে ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে ছুরির আঘাতে যুবক নিহত। ভালুকায় এক ওড়নায় স্বামী-স্ত্রী সহ ৩ জনের আত্মহত্যা। সাংবিধানিকভাবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে ……..সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর প্রান্তিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা। চলমান রাজনৈতিক অবস্থার সংকট ও সম্ভবনা প্রসঙ্গে ….এম এ আলীম সরকার বেকার সালাউদ্দিনের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রয়েছে বহুতল ভবন দুদক এর হস্তক্ষেপ কামনা। ওরা আমাকে বিবস্ত্র করে অত্যাচার করেছে, আমার শরীরের দাগ শুকায়নি। -নির্যাতিত সাংবাদিক সালাম আক্তার। ভালুকায় গায়ের জোরে জমি দখলের অভিযোগ। ভারতের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে দুটি জাহাজ ও ৭৮ জন জেলেকে আটক করেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। ময়মনসিংহ জেলা মালিক সমিতি ভালুকা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন ভালুকায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামীর কবর জিয়ারত জুলাইয়ের গণঅভ্যূত্থানের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মানবাধিকারের কোন বিকল্প নেই। -লায়ন মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন রানা মানবন্ধনে বক্তারা : পৃথিবীতে মানবাধিকার যেন আজ কথার কথা মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ভোটের অধিকার নিশ্চিতে ঐক্যের বিকল্প নাই” খেলার মাঠ, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানের গাইড লাইন বিষয়ক আলোচনা সভা রেমিটেন্স যোদ্ধা রাসেল মাহমুদকে মুক্তি দিন : মানববন্ধনে গোলাম মোস্তফা ভালুকায় পুত্রবধুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্বশুর ভালুকা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কৃষি ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের মানববন্ধন প্রশাসনে ফ্যাসীবাদী দোষররা এখনো লুকিয়ে আছে মট্স এর শিক্ষার্থীরা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে …. রিফাত মাহবুব সাকিব বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি বগুড়া জেলা শাখার ২৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন বাংলাদেশের মানুষকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ভারত ……. ডা. জাহিদ হোসেন বেনাপোল চেকপোস্টও স্থলবন্দর পরিদর্শন আসলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানো এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বন্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির বিক্ষোভ

মায়াং কালো জাদুর রহস্যময় জায়গা হাজার হাজার ট্যুরিস্ট আসেন দেশ বিদেশ থেকে

মায়াং কালো জাদুর রহস্যময় জায়গা হাজার হাজার ট্যুরিস্ট আসেন দেশ বিদেশ থেকে

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়: অসম উত্তর পূর্বের এক পূর্ণ রাজ্য। ছোট পাহাড় এবং ব্রহ্মপুত্র নদে ঘেরা এই রাজ্যের রাজধানী ডিসপুর গুয়াহাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র। গুয়াহাটি থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ মায়াং। অসমের মায়াং গ্রাম, কালো জাদু ও তন্ত্র মন্ত্রের এক আকর্ষণীয় জায়গা ।ভারতবর্ষের উত্তরপূর্বে রাজ্য অসমের মায়ং গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে তন্ত্র-মন্ত্র, কালা জাদু, ঝাড়ফুঁক নিয়েই বেঁচে আছেন।

আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপার উন্নতির যুগেও মায়ং গ্রামের মানুষগুলো এখনও অলৌকিকতা এবং কুসংস্কারের দুনিয়ায় বাস করেন। যদিও বিজ্ঞান তথা আমাদের কাছে এগুলি কুসংস্কার কিন্তু তাঁদের কাছে অবশ্য সে সবই সংস্কার। রহস্যময় এই গ্রামকে ঘিরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষই নয় সারা বিশ্ববাসীরও আগ্রহের শেষ নেই।

কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি যে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক মায়ং গ্রামের কালো জাদুর আকর্ষণে হাজির হন সেখানে। স্বচক্ষে উপলব্ধি করতে আসেন এই মায়াংগ্রামের কালো জাদুর প্রকৃতি। কালো জাদুর ভূমি নামে পরিচিত মায়ং গ্রামটি অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। অসমের মরিগাঁও জেলার ছোট্টো গ্রাম এটি। গ্রামের নাম মায়ং হওয়ার পিছনে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে। কারও মতে ’মায়ং’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘মায়া’ থেকে। ইতিহাস বলে এই গ্রামে মহাভারতের আমলে নাকি জাদুবিদ্যা চর্চা করতেন ভীমের ছেলে মায়া বিদ্যার সম্রাট ঘটোৎকচ। তথ্য অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের বরে ঘটোৎকচ ছিলেন মায়া বিদ্যার একচ্ছত্র সম্রাট। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ঘটোৎকচের মায়াবিদ্যার কারণেই তৎকালীন দিনে গ্রামটির নাম হয়েছিল মায়ং।এই অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ একথা বলে থাকেন ভীম এবং হিড়িম্বার ছেলে ঘটোৎকচই ছিলেন এই প্রদেশের রাজা। তৎকালীন দিনে ঐন্দ্রজালিক ও মায়াবী রাজার অধীনে বসবাস শুরু করেন বিভিন্ন বয়সের একাধিক জাদুকর, তান্ত্রিক, মায়াবিনীরা। তাঁদেরই বংশধরেরাই নাকি এখানে আজ বসবাস করেন। শুধুমাত্র বসবাস করেন একথা বললে ভুল হবে তারা সেই পূর্বপুরুষের প্রথা, সেই পুরাতন পেশা আজও বজায় দেখেছেন ভালোভাবেই।

গ্রামের রাস্তা ঘাটে, অরণ্যে, নদীর পাড়ে তাঁদের সকলকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তবে এ কথা ঠিক এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ওপরে তারা সরাসরি কোন কিছু জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেন না। একান্ত তাদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেই তবেই তারা এর নমুনা মানুষের সামনে তুলে ধরে। তারা বেশিরভাগ সময়ে এই সমস্ত যাদুবিদ্যা ও তন্ত্র মন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে আধুনিক প্রজন্মের কিছু সদস্য এই প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলেও জানা যায়।ডিমাসা সম্প্রদায়ের কাছে এই মায়াং অত্যন্ত প্রিয়। ডিমাসারা দাবি করেন তারা মহাভারতের ভিম ও হিড়িম্বার বংশধর। অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ আসাম সহ উত্তর পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রাজত্ব ছিল ডিমাসা রাজাদের। শেষ রাজা ছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র হাসনুসা।

প্রায় ৮শ বছর আগে চিন এবং থাইল্যান্ড থেকে আহমরা অরণ্য পেরিয়ে প্রায় দেড়শ ঘোড়ায় চড়ে আসামে প্রবেশ করে আচমকা আক্রমণ চালায় রাজ প্রাসাদে।রাজা অপ্রস্তুত ছিলেন। তিনি পালিয়ে গভীর জঙ্গলে উধাও হয়ে যান। এরপর আহম সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। ডিমাসারা বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে পড়ে। ডিমাসা,কাছারি, বড়ো, সনোয়াল ইত্যাদি নামে ভাগ হয়ে যায়। তাদের হিড়িম্বা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ডিমাপুর। আসাম ভাগের পর এটি নাগাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। শুধু আসাম নয়, পশ্চিমবঙ্গের, এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য,এমনকি বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক এই মায়াং তান্ত্রিক শহরে আসেন। সারা অঞ্চল জুড়েই তান্ত্রিকদের আশ্রম দেখা যাবে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com