সারিবদ্ধ খাবারের রেস্টুরেন্ট, দুপুরের খাবার তৈরীর কাজে ব্যস্ত রেস্টুরেন্টের কর্মীরা। পাশাপাশি রয়েছে চায়ের দোকান। মনে হয় যেনো খোলা মাঠে তাবু টাঙিয়ে মেলার পসরা নিয়ে ব্যবসা করছেন দোকানদাররা! চিত্রটি মতিঝিল পার্কের!
এমনটা কিন্তু নিদৃষ্ট কোন জায়গায় নয়। পুরো রাজধানীজুড়ে যেখানেই আছে একটু খোলা জায়গা কিংবা মাঠ বা পার্ক; সেখানেই চলছে এমন রমরমা অবৈধ বাণিজ্য। রাজধানী জুড়ে অলি-গলিতেও নিয়মিত দেখা যায় এমন খাবারের রেস্টুরেন্ট। জানাজায়, রাজধানীর ”মতিঝিল পার্ক” এই পার্কটি মাত্র তিন বছর আগে মতিঝিলে আসা অফিস কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য দৃষ্টিনন্দন করে তৈরী করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। পার্কটি মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে জৌলুস হারিয়ে এখন অসাধু চক্রেরর দখলে। সরকারি পার্ক ভাড়া দিয়ে দৈনিক কামিয়ে নিচ্ছেন প্রায় ১৫ হাজার টাকা। ভূয়া ইজারার কথা বলে পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট করে বানানো হয়েছে বেশকিছু খাবারের রেস্টুরেন্ট।
৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় দেড় বিঘা আয়তনের এই পার্কটি কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন জানতে চাইলে, ব্যবসায়ীরা জানান; পার্কের পাবলিক টয়লেট ইজারাদার তারেক অবৈধ ভাবে এই দোকান ভাড়া পরিচলনা করেন। গণমাধ্যম কর্মীরা তারেকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন নাম্বার বা ঠিকানা না পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিনে জানাজায়, মতিঝিলের এই পার্ক ভাড়া দিয়ে দৈনিক প্রায় ১৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করে পার্কের পাবলিক টয়লেট ইজারাদার তারেক। তবে এ পার্কের দোকান ও দোকান থেকে ভাড়া নেওযা যে সম্পূর্ণ অবৈধ তা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন আমরা অতি দ্রুত এই অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে গণমাধ্যমকে তিনি নিশ্চিত করেন।
একসময় দীর্ঘদিন যাবত অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা মতিঝিলের এ স্থানটি ছিল স্থানীয় মাদকসেবী, মাদক কারবারি ও ভাসমান যৌনকর্মীদের দখলে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্তে মতিঝিলের এ জায়গায় একটি মনোরম পার্ক তৈরির জন্য ২০১৮ সালের জুন মাসে এক বছর মেয়াদি প্রকল্প গৃহীত হয়।
যাতেকরে; মতিঝিলে আসা মানুষদের স্বস্তির কথা মাথায় রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নতুন রুপে সাজায় এই পার্কটি। পার্কটি উদ্বোধন করাহয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply