আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় চার একর জমি ভুয়া কাগজে রেজিস্ট্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ব্যাপারে এ উপজেলার সাব রেজিস্টারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জমির মালিক পক্ষ।
জমির মালিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ধামশুর গ্রামের কাজল চন্দ্র পাল ও সজল চন্দ্র পাল একই গ্রামের বাদল চন্দ্র পালের নামে একটি আম-মোক্তার দলিল রেজিস্ট্রী করে দেন। পরবর্তিতে ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি কাজল চন্দ্র পাল এবং ২৯ নভেম্বর সজল চন্দ্র পাল পরলোকগমন করেন। এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যে নির্ধারণ করে ৪ একর জমির আগের দলিলের তথ্য গোপন করে তাঁর ছেলেদের নামে দানের ঘোষনা দলিলের মাধ্যমে লিখে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন বাদল চন্দ্র পাল। আর তাঁর এই কাজে সহযোগীতা করেন ভালুকা সাব রেজিস্ট্রি কাযার্লয়ের দলিল লেখক হারুন অর রশিদ। গত বুধবার ভিজিট কমিশন যোগে দলিলটি রেজিস্ট্রি করার জন্য চেষ্টা করেন হারুন অর রশিদ। এই দলিলে তিন জনকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ তারা কেউই স্বাক্ষর দেননি।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বাদল চন্দ্রের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে।
এ ব্যাপারে দলিল লেখক হারুন অর রশিদ জানান, দলিলটি রেজিস্ট্রি করার জন্য সাব রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
দলিলের স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো দেবল চন্দ্র পাল বলেন, তিনি কোনো দানের ঘোষণা দলিলের স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দেননি। গত বুধবার সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের পাশের একটি মিলে বালাম বইয়ে টিপসই নিয়ে আম-মোক্তার থেকে দানের ঘোষণা দলিল রেজিস্ট্রি করায় তাদের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। জমিটি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
ভুয়া কাগজে জমি রেজিস্ট্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকার বলেন, ওই দলিল লেখক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। তাঁর বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাগজ পত্রে জামেলা থাকায় ওই দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বালাম বইয়ের টিপসই বাতিলের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply