টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়িয়া এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।

উপজেলার ধরাটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিয়ের আশ্বাসে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ধর্ষক নাঈম ইসলামের বিচার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, গেল বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাস্তা থেকে মধুপুর উপজেলার ধরাটি আঙ্গারিয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক মেয়েকে কলাবাগানে নিয়ে যায়, পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলার ধরাটির নিকটবর্তী বন্দ হাওড়া গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে নাইম ইসলাম। সেখানে তাকে জোড়করে ধর্ষণ করে।

ওই সময় মেয়েটটির চিৎকারে রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজন নাঈমকে আটক করে। পরে এলাকার মাতব্বররা উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষের মাধ্যমে বিবাহের উদ্যোগ নেন।

কিন্তু নাঈমের পরিবার এ নিয়ে কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।

এদিকে ধর্ষণের এ ঘটনার বিচার দাবীতে গতকাল (৩ অক্টোবর) ধরাটিয়া বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে তারা ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। ধর্ষকের ফাঁসির দাবির স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে এলাকার শিক্ষার্থী ও শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, ধর্ষক নাঈমের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের বিষয়ে কৌশলে কালক্ষেপণ করছে। বাল্যবিবাহের অজুহাত দেখিয়ে বলে মধুপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে নাইমকে তুলে নিয়ে যায়। অপরাধীর উপযুক্ত বিচার ও এলাকার মেয়েদের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি।

ধর্ষিতার পরিবার জানান, সর্বস্ব হারিয়ে মেয়েটি এখন আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। বিবাহের উদ্যোগ নেয়ার কারণে এখনো কোন মামলা হয়নি। এখন আমরা মেয়েকে নিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। বাইরে মুখ দেখাতেও পারছি না।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ তারিক কামাল বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি উভয়ের মধ্যে প্রেমঘটিত সম্পর্ক রয়েছে। উভয়ই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ধর্ষণের কোনও বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।