টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালে খাবার সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সাল থেকে একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকায় এ অনিয়ম হচ্ছে বলে মনে করছেন হাসপাতালের কয়েক কর্মকর্তা।
২০১৭-১৮ সালের খাবার সরবরাহের দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যেক রোগীকে সপ্তাহে শুক্র ও রবিবার খাসির মাংস, এর পর তিন দিন (পর্যায়ক্রমে) দেশি ও ফার্মের মুরগির মাংস এবং রুই, কাতল, পাঙ্গাশ ও সিলভারকাপ দেওয়ার কথা। কিন্তু রোগীদের সপ্তাহে একদিন খাসির মাংস, এর পর তিন দিন ফার্মের মুরগির মাংস এবং পাঙ্গাশ ও সিলভারকাপ মাছ ছাড়া কিছুই দেওয়া হয় না। আবার যে মসুর ডাল দেওয়া হয়, তা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরের। অথচ বিল করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিদরে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার পাঙ্গাশ এবং সিলভারকাপ মাছ দেওয়া হয়। রবিবার দেওয়া হয় খাসির মাংস।
সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মনিরা ৭ অক্টোবর জানান, হাসপাতাল থেকে পানির মতো ডাল আর পাঙ্গাশ মাছ দিয়ে ভাত দিয়ে গেছেন।
পাশের বেডেই হালিমা খাতুন (৪২) জানান, তাকে দুপুরে দেওয়া হয়েছিল পাঙ্গাশ মাছ দিয়ে ভাত আর রাতে কলা-পাউরুটি। পাউরুটিতে গন্ধ ছিল। অর্ধেক খেয়ে বাকিটুকু রেখে দেন তিনি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন বিপ্লব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সদর উদ্দিন জানান, শিডিউলে খাবারের তালিকায় যা যা ধরা আছে, সেটিই খাওয়াতে হবে। আর গাভীর দুধের পরিবর্তে গুঁড়া দুধ খাওয়ানো একেবারের বেআইনি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, কোনো সময়ই রোগীদের খাবারে রুই বা কাতল মাছ যোগ হচ্ছে না। এ ছাড়া রোগীদের গাভীর দুধের বদলে দেওয়া হচ্ছে ১০০ গ্রাম করে গুঁড়া দুধ। অনেক রোগীই এগুলো খেতে চান না। অন্যদিকে ডায়রিয়া রোগীদের ডাব খাওয়ানোর কথা। কিন্তু কখনই তাদের ডাব দেওয়া হয় না। অথচ বিল করার সময় ঠিকই গাভীর দুধ, রুই, কাতল ও দেশি মুরগি দেওয়া হচ্ছে বলে বিল করা হয়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply