রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধঃ শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মোহাম্মাদ আলী প্রধানীয়া কান্দি বাসিন্দা ইয়াসিন মোল্লার মেয়ে লাবনী আক্তার(১৮)কে তার স্বামীর সংসার থেকে বঞ্চিত রেখেছে তার চাচাতো দাদা কেরামত আলী মোল্লা, এমন একটি অভিযোগ উঠেছে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আকরাম দর্জি (২৫) ও লাবনী আক্তারের সংসার জোড়া লাগানোর বিনিময় এক লক্ষ টাকা দাবী করেছে দাদা কেরামত আলী মোল্লা।
স্থানীয় ও আকরাম দর্জির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আবুতাহের দর্জির ছেলে আকরাম দর্জি এবং ইয়াসিন মোল্লার মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে দু’পক্ষের সম্মতিতে ২৫/০৯/১৮ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এবং তাদের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে যার বয়স আনুমানিক ১ বছর ৭ মাস। নাম রাখা হয়েছে আল-আমিন। মহামারী করোনার কারণে আকরাম দর্জি আর ফিরে যেতে পারেনি সৌদি আরবে। কিন্তু কর্মজীবন থেমে থাকেনি আকরাম দর্জির। বাবা আবুতাহের দর্জির সাথে মিলে একটি খাবার হোটেল দিয়েছে, দক্ষিণ তারাবুনিয়া বন্দুকশী বাজারে। এ খাবার হোটেলে আকরাম দর্জি বাবার সাথে কাজ করে বলে দাদা কেরামত আলী মোল্লা লাবনীকে আকরাম দর্জির কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায়।
এ ব্যাপারে আকরাম দর্জি বলেন, আমি ৩ বছর সৌদি প্রবাসী ছিলাম। বাবা-মা’র সম্মতিতে দেশে এসে বিয়ে করলাম লাবনীকে। করোনাতে আটকে পড়লাম দেশে। কফিলের সাথে আলাপকালে জানতে পারলাম, করোনা মহামারীর কারণে মিল ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাবার সাথে হোটেলে কাজ করি। আমি বিদেশ থেকে এসে কেন চায়ের দোকানে কাজ করি? এজন্য আমার কাছ থেকে স্ত্রী লাবণীকে আমার সংসার থেকে কেড়ে নিতে চায় দাদা কেরামত আলী মোল্লা। আমার স্ত্রী খুব সহজ সরল একজন ভালো মানুষ।
তার বাবা আবু তাহের দর্জি বলেন, কেরামত আলী মোল্লা আমাকে ফোন দিয়ে তার বাড়ি নিয়ে বলেন, আমি আকরাম দর্জি ও লাবণীর সংসার জোড়া লাগাতেও পারি আবার ভাঙতেও পারি, বিনিময় আমাকে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমি টাকা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ১০/১০/২০ইং হয়রানিমূলক মামলা করেন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত সি আর,১৯৬/২০২০ শরীয়তপুর। আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার পুত্রবধূ ও নাতিকে আমি ফিরে পেতে চাই।
স্ত্রী লাবনী আক্তার বলেন, আমি কিছু করি নাই। মামলা-হামলা যা করার আমার দাদা কেরামত আলী মোল্লা করেছে। এখন সব জানে আমার দাদা কেরামত আলী মোল্লা।
দাদা কেরামত আলী মোল্লার কাছে সাংবাদিকরা কিছু জানতে চাইলে বলেন, তোমরা কারা, আমি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি না। আই এম এ কিলার! আরো বিভিন্ন রকম কথা বলে সাংবাদিকদের হুমকি দেয় কেরামত আলী মোল্লা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply