এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের একই পরিবারের নিহত ছয়জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নাগরপুর থেকে নাতনি রাধেকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার দেখানোর জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রওনা দেন দাদা হরেকৃষ্ণসহ ওই পরিবারের ছয়জন। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘিওর-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কের মূলকান্দি এলাকায় বাস ও অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন একই পরিবারের দুই নারীসহ ছয়জন।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহত হরেকৃষ্ণ বাদ্যকরের স্ত্রী শোকে পাথর হয়ে গেছেন। পরিবারের সকলকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকরপাড়ায় কান্নার রোল পড়েছে। নিহতদের স্বজনদের আর্তনাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতরা হলেন- নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকরপাড়ার মৃত নিতাই বাদ্যকরের ছেলে হরেকৃষ্ণ বাদ্যকর (৫০), তার ছেলে গোবিন্দ বাদ্যকার (২৮), গোবিন্দের স্ত্রী ববিতা বাদ্যকর (২৫), মেয়ে রাধে বাদ্যকর (৪), গোবিন্দের দাদি খুকি বাদ্যকর (৭০), গোবিন্দের ধর্ম শ্বশুর একই এলাকার মৃত জুড়ান বাদ্যকরের ছেলে রামপ্রসাদ বাদ্যকার (৩৫) এবং দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর গ্রামের সদর আলীর ছেলে সিএনজি চালক জামাল শেখ (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ নাতনির চিকিৎসার জন্য স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন হরেকৃষ্ণ বাদ্যকর। তারা দৌলতপুর থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে মানিকগঞ্জে যাচ্ছিছিলেন। বিকেলের দিকে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের দৌলতপুরের মুলকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশাটির সঙ্গে ভিলেজ লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই সাতজন নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী। তাদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply