রাজধানীর ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পরই বেরিয়ে এসেছে যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নাম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। একই সঙ্গে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সাধারণ সম্পাদক। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবটি পরিচালিত হতো তার নেতৃত্বে।
খেলার বদলে এই ক্লাবে জুয়ার টাকায় জৌলুসের দৃশ্য ধরা পড়ার পরই তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একে একে বেরিয়ে আসছে সাঈদের টেন্ডারবাজি, জুয়ার আড্ডা, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, আর গাড়ির তেল চোরির বিভিন্ন অভিযোগ।
রাজধানীর মতিঝিলের ত্রাস, ক্লাব পাড়ার অভিভাবক, যিনি এক যুগ আগে রাজধানীতে গাড়ির তেল চুরি করে বিক্রি করতেন মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ কমিশনার। সেখানে ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
এছাড়াও তারা ফকিরেরপুল ও বিজয় নগর পল্টনে সড়কের মোড়ে অস্থায়ী টং দোকানে চোরাই তেল রেখে মোটরসাইকেল সহ ছোট ছোট যানবাহনে বিক্রি করতেন। ফুটপাতের চাঁদাবাজিতে মতিঝিল পাড়ায় একটিই নাম সাঈদ। দৃশ্য-অদৃশ্য নিয়ন্ত্রনের মাফিয়া সাঈদ কমিশনার। চাঁদা তুলেন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেন।
মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান (সাঈদ কমিশনারের ভাগিনা) তাই ছাত্রলীগ ও মামার পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ায় মতিঝিলের অবৈধ্য লেনদেনে। মামা কমিশনারের সব হিসাবই রাখেন তিনি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply