November 24, 2024, 1:25 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
গৃহঋণের জন্য আবাসন খাতে বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার। বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- ২০২৪ অনুষ্ঠিত। বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা

এই দিনে টাঙ্গাইলসহ হানাদার মুক্ত হয় যেসব অঞ্চল!

এই দিনে টাঙ্গাইলসহ হানাদার মুক্ত হয় যেসব অঞ্চল!

এম শহিদুল ইসলাম, দুসস নিউজ ডটকমঃ আজ ১১ ডিসেম্বর। ‘৭১ এর এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় টাঙ্গাইল, নীলফামারীর ডিমলা ও দিনাজপুরের হিলি। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাক-হানাদারমুক্ত হওয়ায় বাঁধভাঙা উল্লাসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে আসেন এসব এলাকার মানুষ। দিনটি উপলক্ষে এসব এলাকায় নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

টাঙ্গাইল

আজকের এই দিনে টাঙ্গাইল শহর সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তির আনন্দে ওই দিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে টাঙ্গাইল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও পলায়নের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছিল টাঙ্গাইল।

এর আগে সারারাত দু’পক্ষের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর গোলাগুলিতে বিনিদ্র রাত কাটায় শহর ও শহরতলির লোকজন। যুদ্ধকালীন টাঙ্গাইলের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ণ কাহিনী দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত ‘কাদেরিয়া বাহিনীর’ বীরত্বের কথা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।

এপ্রিল থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় কাদেরিয়া বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে পাকসেনাদের পর্যুদস্ত করে। এ যুদ্ধে ৩শ’ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে টাঙ্গাইল অঞ্চলের প্রধান কাদের সিদ্দিকী সখীপুরের মহানন্দা ও কীর্ত্তনখোলায় গড়ে তোলের দুর্ভেদ্য দূর্গ। এরপর আক্রমণের মুখে পাকসেনারা গুটিয়ে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে এসে যখন টাঙ্গাইল শহরে অবস্থান নেয়, তখন উত্তর ও দক্ষিণ টাঙ্গাইল ছিল সম্পূর্ণ মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ৮ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে পাকসেনাদের পুংলি নামক স্থানে সংর্ঘষ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পাকসেনারা টাঙ্গাইল ছেড়ে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়।

দিনটি উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডিমলা

দিনাজপুরের ডিমলা আজকের দিনে হানাদারমুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ডিমলা উপজেলা মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

এই অঞ্চলে হানাদার বাহিনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হানাদার বাহিনী ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন। ডিমলায় হানাদার ক্যাম্প ছিল—বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টুনিরহাট বাজার, খগার হাট, শঠিবাড়ি বাজার, ডিমলা উপজেলা পরিষদ ও রামডাঙ্গা পূরান থানা এলাকায়।

ডিমলার উওরাঞ্চল ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে। তারা গেরিলা যুদ্ধ করে সামনের দিকে অগ্রসর হবে এটাই ছিল মূল পরিকল্পনা। ভারত থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত যোদ্ধারা ডিমলাকে ৬টি কোম্পানি বা অঞ্চলে ভাগ করে অবস্থান নেন। ক্যাম্পগুলো হলো— দক্ষিণ বালাপাড়া অঞ্চলে মাহাবুব কোম্পানি, ঠাকুরগঞ্জ অঞ্চলে মনির কোম্পানি, টুনির হাট ভাড়ালদাহ অঞ্চলে সিদ্দিক কোম্পানি, কলোনি দোহলপাড়া অঞ্চলে রওশন কোম্পানি, রহমানগঞ্জ ও টেপাখড়িবাড়ি অঞ্চলে হারেছ কোম্পানি এবং তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল মতিন কোম্পানি। দীর্ঘ যুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে ১১ ডিসেম্বর ডিমলা মুক্ত হয়।

হিলি

‘৭১ এর ১১ ডিসেম্বর দিনাজপুরের হিলি শত্রুমুক্ত হয়। আজকের দিনে দেশের সর্ববৃহৎ সম্মুখযুদ্ধ হয়েছিল হিলির মুহাড়াপাড়া এলাকায়। যুদ্ধ চলাকালীন এখানে প্রায় ৭ হাজার পাকসেনা নিহত হন। শহীদ হন এক হাজার ৩শ’ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং মিত্র বাহিনীর ৩৪৫ জন সদস্য। আহত হন আরও অনেকে। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর ১১ ডিসেম্বর ৭ নম্বর সেক্টরের আওতায় থাকা হিলি শত্রুমুক্ত হয়।

হাকিমপুর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পাক-হানাদারেরা হিলি থেকে তিন মাইল পূর্বে ছাতনী গ্রামে শক্ত ঘাটি প্রতিষ্ঠা করে। বিভিন্ন দিকে ক্যাম্প গঠনের মাধ্যমে ভারী অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে অবস্থান গ্রহণ করে এবং মুহাড়া পাড়ায় তারা একটি গভীর খাল কেটে বেশ কয়েকটি বাংকার তৈরি করে। ৬-৭ হাজার পাক সেনা ৪০টি ট্যাংক নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে থাকে। ভারত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে সমর্থন দানের পর হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ মিত্র বাহিনীর সঙ্গে পাক সেনাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথম দিকে হিলির মুহাড়াপাড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিত্র বাহিনী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ সময় তরুণ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা শহীদ হন। পরে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা সুসংঘঠিত হয়ে ১০ ডিসেম্বর মুহাড়াপাড়া এলাকাসহ পাক সেনাদের বিভিন্ন আস্তানায় আকাশ ও স্থল পথে একসঙ্গে হামলা চালায়। দুই দিন প্রচণ্ড যুদ্ধের পর পাক-হানাদার বাহিনী পরাজিত হলে ১১ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে মুক্তিযুদ্ধের ৭ নম্বর সেক্টরের আওতায় দিনাজপুরের হিলি শত্রুমুক্ত হয়।

শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে হিলি শত্রুমুক্ত দিবস। সকাল ১০টায় হিলির মুহারাপাড়াস্থ সম্মুখ সমরের শহীদ বেদিতে প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com