আনোয়ার হোসেন তরফদার ভালুকা ময়মনসিংহ ঃ সারাদিন দেখা নেই সূর্যের। গত কয়েকদিন ধরেই শীতের আগমনী বার্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানেই ঝেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহ ও শীতের তীব্রতার ক্রমশ বৃদ্ধিতে ভালুকা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে খোলা স্থানে জমে উঠেছে গরীবের গরম কাপড়ের বাজার। একদাম এক রেট, দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন এভাবেই নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাক কিনছে সবাই। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শীত নিবারণ করতে গরম কাপড় কেনায় ব্যস্ত উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। তবে করোনার ঝুঁকি থাকা সত্তেও তাদের মাঝে তেমন কোন ভয় বা সচেতনতা লক্ষ করা যায়নি।
গরীবদের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন কাপড় কিনে থাকেন। বর্তমানে উচ্চ আয়ের লোকজনও এখান থেকে কাপড় কিনছেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে তেমন কেনা-বেচা না হলেও শীতের আগমন ঘটলেই এদের ব্যবসা জমে উঠে।
ব্যবসায়ী করিম বলেন, আমরা করোনার ঝুঁকি নিয়েই খেয়ে-পড়ে বাঁচার তাগিদে ঢাকার বঙ্গবাজার থেকে এসব শীতের কাপড় বিক্রির জন্য নিয়ে আসি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশি। তাই একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আমরা বিভিন্ন ধরণের গরম জামা, টুপি, মোজা, বাচ্চাদের কাপড়, কোর্ট, প্যান্ট, চাদর, কম্বল, ট্টাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম একটু কম থাকলেও বিকাল হওয়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে ক্রেতার সমাগম। অন্যান্য ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী।
কলেজ ছাত্র মেহেদী বলেন, অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে কম দামে ভালো শীতের কাপড় পাওয়া যায়। তাই প্রতিবছর পরিবারের সকলের জন্য আমরা এই ফুটপাত গুলো থেকেই শীতের কাপড় কিনি।
শীতের কাপড় কিনতে আসা পাপিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, টাকার অভাবে দামি শীতের কাপড় কিনতে পারিনা। তাই ছেলে মেয়েদের জন্য ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply