কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ( দুসস)ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মুক্তিযুোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় জনাব আখম মোজাম্মেল হকের কয়েক বছর ধরে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এ বছর বিজয় দিবসের আগেও বীর মুক্তিযোদ্ধার পুরো তালিকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনলাইন সনদ প্রকাশ করার কথা থাকলেও, তা হচ্ছেনা।
১৯৯৬ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাওয়া তালিকার ৪০ হাজার জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ আসায় কাগজপত্র যাচাইবাছাই করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
তবে, এবার ১৬ই ডিসেম্বরে এক লাখের কিছু বেশী বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম থাকা সাত জনের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
জীবনের ঝুঁকি জেনেও নিজ জীবন বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করতে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের বিপক্ষে যারা যুদ্ধ করেছিলেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভারতের দেয়া তালিকা এবং সরকারের লাল মুক্তিবার্তার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকৃতি পান। এরপর, ২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হওয়ার পর সারাদেশে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর কাজ।
মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী ২ লাখ ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। অনেকের নামে অভিযোগ আসায় যাচাইবাছাই শেষে এক লাখ ৮২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করেছিলো মন্ত্রণালয়। যা ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের ম্যানেজম্যান্ট ইনফরমেশন সিস্টেম-এমআইএস এর মাধ্যমেই এই এক লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা করা হয়েছিলো। বিভিন্ন অভিযোগ আসায় সেই তালিকার ৪০ হাজার জনের কাগজপত্র পূনরায় যাচাইবাছাই চলছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম থাকা সাত জনের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বললেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেনা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকার তথ্য যাচাই বাছাই করে আগামী ২৬ শে মার্চ পর্যন্ততালিকা তৈরীর কাজ চলবে। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবে সরকার।
কক্সবাজারঃ সদ্য সাবেক জেলা কমান্ডার প্রয়াত জনাব মোহাম্মদ শাহাজাহানের মৃত্যুর পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আজো শোকে কাতর হয়ে আছেন। অভিভাবক হীন হয়ে হয়ে পড়ে পুরা ককস বাজারের বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
এরই মাঝে হঠাৎ কক্সবাজার সদরে ভাতা প্রাপ্ত এবং মুক্তিবার্তা লাল তালিকার ৩৮ জনের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাইয়ের তালিকা সহ চিটি পৌচানো হয় সদর উপজেলা ইউএনওর মাধমে।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল সামরিক গেজেট, মুক্তিবার্তা লাল তালিকা, ভারতীয় তালিকা কোন ভাবেই যাচাই-বাছাই করার আওতায় থাকবেনা। তবে কেন লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকা ৩৮ জনের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই করতে নির্দেশনা দেয়া হল।
কক্সবাজার সদরে প্রথম প্রকাশিত সবুজ মুক্তিবার্তা তালিকায় নাম ছিল ১৯ জন বীরমুক্তিযোদ্ধার।
এবং পরে ৬৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে প্রকাশিত হয় লাল মুক্তিবার্তা। তবে দুঃখের বিষয় হল যাচাই বাছাই তালিকায় সবুজ মুক্তিবার্তা তালিকারও কয়েক জনের নাম দেখা গেছে। তাই কক্স বাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply