পাওনা টাকার জন্যই রাইসাকে অপহরণের পর হত্যা, একজনের স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে হত্যার শিকার দুই বছরের শিশু রাইসার বাবা রাজু খান ৩/৪ বছর আগে নিজের চাচা আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়ে তিনি ইরাক চলে যান। পাওনা ওই টাকা ফেরত না পেয়ে সেই পাওনা আদায়ে গত সোমবার বিকেলে আরমান ও তাঁর স্ত্রী সুমা খান অপহরণ করে নিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাকড়ির মাচায় রেখে দেন। বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে এমন জবানবন্দি দিয়েছেন সুমা।
টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে সুমা খান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে সুমার স্বামী আরমান খান আদালতে হত্যার দায় অস্বীকার করেন।
সুমা খান সম্পর্কে সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের ইরাকপ্রবাসী রাজু খানের মেয়ে রাইসার চাচাতো দাদি।
নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর সোমবার রাত ১১টার দিকে আরমান-সুমার বাড়ির লাকড়ি রাখার মাচা থেকে রাইসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেশী চাচাতো দাদা আরমান খান (৩৫) ও দাদি সুমা খানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বুধবার তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে সুমা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে সুমা বলেছেন, রাইসাকে অপহরণ করে নিজেদের ঘরে আটকে রাখেন। রাইসাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন আরমানও অন্যদের সঙ্গে রাইসাকে খুঁজতে বের হন। রাইসা কান্নাকাটি শুরু করলে সুমা শিশুটির মুখ চেপে ধরেন। পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলেন। তবে বাড়ির চারপাশে মানুষের আনাগোনা থাকায় বস্তাটি কোথাও ফেলতে পারেনি সুমা।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে সুমা খান জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত এই দম্পতিকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply