টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ (দুসস নিউজ) টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাড়ি থেকে অপহরণের পর এক গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর ধর্ষণের সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কামালপুর গ্রামে।
মামুন ধলাপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ মাসখানেক পর গেল রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।মামলা করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগি ও তার পরিবার।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, লম্পট মামুন দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গেল বছরের ২ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার ফার্মের থাকার ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। শুধু তাই নয়, গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া ও প্রাণে মেরে ফেলে মরদেহ গুমের হুমকি দেয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশে টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য বলেন মাতব্বররা। পরে এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয় মামুনের লোকজন। বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় একমাস পর আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী।
এদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে মামুন ও তার লোকজন। ফলে গৃহবধূসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু মামুনের স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুপক্ষকেই ডেকেছিলাম। কিন্তু মামুনের পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় সালিশ হয়নি। পরে কি হয়েছে কিছু জানি না।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুল আলম বলেন, এ ধরনের কোনও মামলা এখনও থানায় আসেনি। আর বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply