ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরের জিবন জিবীকা বাচাও শ্রমিকদের ডাকে বেনাপোল ও পেট্রাপোলে আমদানি রপ্তানি বন্ধ। বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতের বনগাঁ পেট্রাপোল অঞ্চলে শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের কারণে রোববার পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়াই বেনাপোলের ওপারে বন্দরের সব কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানি চলবে বলে জানান তিনি।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত এসব কর্মজীবীরাই গঠন করেছেন ‘পেট্রাপোল জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’। এসব কর্মজীবীরা আগের মতো কর্মস্থল ফিরে পেতে এই আন্দোলন করছেন।পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, কয়েকদিন আগে পেট্রাপোল ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ কমিটি প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানায়।
বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বেশ কিছু শর্ত মেনে আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব শর্ত মেনে চলতে গিয়ে সাধারণ কুলিও বন্দর শ্রমিকদের রুটি-রুজির উপর হাত পড়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে পূর্বের মতো হ্যান্ডেলিং কুলি এবং পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। ট্রাকচালক ও সহকারীদের পায়ে হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোলের মধ্যে যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে।
মুদ্রা বিনিময়কারী, পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরওয়াডিং এজেন্ট, ট্রাকচালক ও সহকারীদের ওপর বিএসএফ ও অন্যান্য এজেন্সির নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আসা রপ্তানি পণ্যের ট্রাক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালির ব্যবস্থা করতে হবে এবং আধুনিকতার অজুহাতে শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।
এসব দাবি নিয়ে ভারতীয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা রোববার সকাল থেকে সমগ্র পেট্রাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিকদের স্বার্থে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply