মনিরুল ইসলাম কুমিল্লা
মাদক চোরাচালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার বুড়িচং এর ভরাসার এলাকার মাদকব্যবসায়ি মোঃ শাকিলকে পর্যবেক্ষণ করছিলো র্যাব। দীর্ঘ নজরদারির ফল মিললো বড়-সড়। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ১২০ কেজি গাঁজাসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়ে শাকিল। তার বসতঘরের একটি খাটের নিচ থেকে স্কচট্যাপ মোড়ানো আলাদা আলাদা পুটলি করে রাখা অবস্থায় এ তিনমণ গাঁজা উদ্ধার করে র্যাব।
মাদক কারবারি শাকিল (২৮) বুড়িচং উপজেলার ভরাসার গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে। এছাড়াও শুক্রবার পৃথক আরো দু’টি অভিযান চালিয়ে ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব।
এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, একটি খাঁেটর নিচ থেকে ১২০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভরাসার বাজার থেকে শাকিলকে আটক করার পর তার দেয়া তথ্য মতেই গাঁজা উদ্ধার হয়। ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে আনা এসব গাঁজা শাকিল কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় পাঁচার করে থাকে। প্রবাস ফেরত এই ব্যবসায়ি গত ৩ বছর এই কাজের সাথে জড়িত হলেও এই প্রথম সে ধরা পড়লো।
এছাড়া কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী, কুমিল্লার সদর উপজেলার আমতলী ও পূর্বচাঁনপুর এলাকায় আরও পৃথক তিনটি অভিযানে ৪৪ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় গাঁজা বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
ভরাসারের শাকিলের কাছ থেকে উদ্ধার করা ১২০ কেজি গাঁজা কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছিলো। এছাড়া ৩৬ কেজি গাঁজা কাভার্ডভ্যানে করে নারায়ণঞ্জ পাচার করছিলো বাহার উদ্দিন। বাকি ৮ কেজি কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে রাখা হয়েছিলো বলে জানিয়েছে র্যাব।
মোট ১৬৪ কেজি গাঁজাসহ যে চার মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয় তারা হলো, কুমিল্লার বুড়িচং থানার ভরাসার গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. শাকিল (২৮), লাকসাম থানার পইশাগি গ্রামের জালাল আহম্মেদের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন(২৯), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বদরপুর (উত্তর পাড়া) গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন মিয়া (১৯) এবং সদর উপজেলার পূর্ব চাঁনপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৩৪)।
কুমিল্লা র্যাব অধিনায়ক আরো জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসায়িদের কাছ থেকে জানা গেছে- তারা দীর্ঘদিন কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিলো। এই বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকের মত সামাজিক ব্যাধি নির্মূলে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply