মাহমুদুল হাসান, যশোর
যশোরের শার্শা সীমান্তের বিভিন্ন রুট দিয়ে বানের স্রোতের ন্যায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত হতে মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ফেনসিডিলের মত মাদকদ্রব্যের প্রবেশে এ এলাকার উঠতি বয়সি তরুণেরা সর্বনাশা মাদক ব্যাবসায় ঝুকে পড়েছে।
সরকারের আইনশৃক্ষলা রক্ষা বাহিনীর হাতে দু’একজন ধরা পড়লেও থামছেনা তরুণদের মাদক ব্যাসায় জড়ানোর প্রবণতা।
উপজেলার অগ্রভুলোট, গোগা, পুটখালী, দৌলৎপুর, সাদীপুর, ঘীবা ও গাতিপাড়া সীমান্ত ঘাট গুলো দিয়ে কথিত সিন্ডিকেটের সাহায্যে ভারত হতে বাংলাদেশে ঢুকছে নেশা জাতীয় দ্রব্য।
আর এই মরণ নেশা দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চাহিদা মত সরবারহ করে রাতারাতি পকেট ভারি করার প্রয়াসে প্রতিনিয়ত মাদক ব্যাবসায় জড়াচ্ছে ১৪ হতে ৩৮ বছর বয়সী কিশোর ও যুবকেরা। সাম্প্রতি এ পেশায় নারী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের সম্পর্কৃতা মিলছে। প্রশাসনের নিকট ধরা পড়লেও আইনি ফাঁক গলিয়ে জেল হতে ছাড়া পেয়ে আবারও তারা ফিরছে মরণঘাতী মাদক ব্যাবসায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শার্শার এক মাদক ব্যাবসায়ী জানান, এ ব্যাবসায় দ্বিগুন লাভ ও অনেক ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনিক সহযোগীতা পাওয়া যায় তাই এ জগতে একবার যাহারা প্রবেশ করেছে সহসায় তাহারা বের হতে পারবেনা।
শুক্রবার (৫ফেব্রুয়ারি) শার্শা থানা পুলিশের সদস্যরা বাঁগআচড়া ইউপির বসতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল সহ আব্দুল হান্নান(৩৫) নামের এক মাদক ব্যাবসায়ী কে আটক করেছেন। বাঁগআচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই তারিখে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সদস্যরা পৌরসভার আওতাধীন দূর্গাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৮৯ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার সহ ৩ জনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলো ভবেরবেড় গ্রামের মৃত লালচানের পুত্র ইমরান(২৭) দৌলৎপুর গ্রামের আবু ছিদ্দিকের পুত্র মাহাবুর(১৮) ও খুলনার খালিশপুর গ্রামের মৃত ফারুক ফারাজীর পুত্র বিল্লাহ ফারাজী।
বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান ফেনসিডিল উদ্ধার সহ আসামী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যানে বুঝাযায় ভারত সীমান্ত ঘেষা উপজেলা শার্শায় মাদক ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। সরকার ঘোষিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে শূন্য টলারেন্স নিতী বাস্তবায়নে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের অভিযানের মুখেও থেমে নেই শার্শার প্রশাসনের তালিকা ভূক্ত শীর্শ মাদক ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ব।
বরং তারা আত্মগোপনে থেকে নানা কৌশলে উঠতি বয়সী তরুন, নারী ও যুব সমাজকে দিয়ে মাদকের ব্যাবসা পরিচালনা করে তাদের অপরাধের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রেখেছে বলে অভিমত এলাকার সুশীল সমাজের।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply