মনিরুল ইসলাম কুমিল্লাঃ
হাজার বছরের পুরোনো দু’টি মূর্তি কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরে হস্তান্তর করেছে আদালত। কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে ২০১১ সালে বৌদ্ধ মূর্তিটি এবং ২০১৬ সালে বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করে পুলিশ। আদালতের আদেশের আগে মূর্তি দু’টি দেবিদ্বার থানায় সংরক্ষিত ছিলো। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম সোহেল রানা ঐতিহাসিক মূর্তি দু’টি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক ডা. আতাউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ মাসউদুর রহমান ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ড. আতাউর রহমান জানান, মূর্তি দুটি ইতিহাসের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য এগুলো ময়নামতি জাদুঘরে সংরণ করা হবে।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাসিবুল হাসান বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দির মূর্তি দু’টি তৎকালীন বৌদ্ধ এবং হিন্দু শাসনামলের হতে পারে। মূর্তিগুলোর বয়স এক হাজার বছরেরও বেশি হতে পারে। উদ্ধারের পর আইনী কারনে এগুলো থানায় সংরক্ষিত ছিলো, তবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়ির পাশ থেকে ব্রোঞ্জের বৌদ্ধমূর্তিটি উদ্ধার করে পুলিশ। মূর্তিটির উচ্চতা সাড়ে ছয় ইঞ্চি ও প্রস্থ তিন ইঞ্চি। তবে উদ্ধারের সময় মূর্তিটির বেদির অংশটি ভাঙা ছিল।
এছাড়া ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুর রহিমের বাড়ির পাশে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্রোঞ্জের বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। যার উচ্চতা সাড়ে সাত ইঞ্চি ও প্রস্থ তিন ইঞ্চি।
দুটি মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ দ্বেবীদ্বার থানায় জিডি করে। পরে সেখানেই সংরক্ষিত হয় মূর্তিগুলো।কিছুদিন আগে জিডির নথি কুমিল্লার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার পর্যবেণে দেখে যে এগুলো পাচার হয়ে আসা মূর্তি নয়, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মামলা না থাকায় ময়নামতি জাদুঘরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘মূর্তি দুটি যখন উদ্ধার হয় তখন আমি এ থানার দায়িত্বে ছিলাম না। এত দিন থানার মধ্যেই সংরতি ছিল মূর্তি দুটি। এখন আদালত চেয়েছে তাই আমরা মূর্তিগুলো হস্তান্তর করেছি।’
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply