শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি রাকিব হোসেন,
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা এলাকায় মতিন রারী, সেলিম রারি ও মনির রারী নামের কুচক্রী মহল আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বর্তমানে বিরোধ বিরাজমান রয়েছে, সংঘর্ষ হামলা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
উক্ত জমি দখলের ঘটনায় শরীয়তপুর জেলা আদালতে মামলার রায় পেয়েছে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম রারী। পরবর্তীতে উক্ত জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনার সূত্রপাত সৃষ্টি হয়েছে সখিপুর ছৈয়াল কান্দি গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান ছৈয়াল কান্দি গ্রামের, কাশেম রারী, মাফিয়া খাতুন গংদের কাছ থেকে, ক্রয় সূত্রে ৯০ নং চর সখিপুর মৌজায়, আরএস ৭৭৪ ও এসএ ৯০৮ নং খতিয়ানে বিআরএস ৬২০ নং খতিয়ানে ১৬৪১৫ এবং ১৫৬৯৩ নং দাগে ০১ একর ২৩ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ তারা ভোগ করে আসছে।
যা দলিল মূল্যে আরএস ৭৭৪ ও এসএ ৯০৮ নং খতিয়ানে বিআরএস ৬২০ নং খতিয়ানের মালিক সাইফুল ইসলাম রারী।
ব্যাক্তিসার্থ লাভ করার জন্য, অন্যায় ভাবে মতিন রারী, সেলিম রারি ও মনির রারী গংরা তাদের নামের জমি দখলের প্রবল চেষ্টা করছে।
এই জমি নিয়ে মতিন রারী নিজে বাদী হয়ে একটি দেওয়ানী মামলা করেছেন এবং মামলার বিবাদী ছিলেন সাইফুল ইসলাম রারী।
আদালতে বিচার্য শেষে আদালত থেকে এই জমির রায় পান বিবাদী সাইফুল ইসলাম রারী। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের নিয়ে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম রারী সহ স্থানীয় জনতা। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করছেন।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম রারীর মেয়ে সুমি আক্তার বলেন, এখানে ০১ একর ২৩ শতাংশ জমির সঠিক উত্তরাধিকারী আমার বাবা। যা আদালত থেকেও আপোস মতে ছাহাম বণ্টন ডিগ্রি পেয়েছেন আমার বাবা। কিন্তু, সেই জমি স্থানিয় কিছু জামায়াত বিএনপির মদতপুষ্ট প্রভাবশালী কুচক্রী মহল এই জমিটি ভোগ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগির মেয়ে সুমি আক্তার আরো বলেন আমাদের নিজের জমি হওয়া সত্বেও আমরা দখলে নিতে পারছিনা। আমাদের জমি আমরা সঠিকভাবে ভোগ করতে চাই, তাই প্রধানমন্ত্রী ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীর মেয়ে সুমি আক্তার।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, এই জমি আমি আমার বাবা কাকা কাকিদের কাছ থেকে সাব কাবলা মূল্যে ক্রয় করি। আমি তার একটি সমাধান চাই। এই ব্যাপারে আমি সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ করছিলাম।
এদিকে মতিন রারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলেন, ঐ জমির ৮৩ শতাংশ জমি বড় ভাই সাইফুল ইসলামের, বাকি ১৬ শতাংশ জমি বড় ভাইয়ের না হওয়ায়ও তিনি ভোগ করছেন। ঐ জমি গুলো আমাদের। এই বিষয়টা আদালত থেকে শুরু করে গ্রাম্য সালিশি মাদবররাও জানেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, জায়গা জমি দেওয়ানী এইসব আদালতের বিষয়। তবে আইনশৃঙ্খলার কোন প্রকার অবনতি হলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply