মাহমুদুল হাসান,যশোর
যশোরের বন্দর নগরী বেনাপোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মর্মস্পর্শী সেই চৌগাছা ট্রাজেডির ৭ম বর্ষ পালিত হচ্ছে। এ দিনে বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুরাইয়া, জেবা আক্তার, মিথিলা, রুনা,শান্ত, সাব্বির, আঁখি, ইকরামুল ও ইয়ানুর নামের ৯ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘনায় প্রান হারায়। সোমবার(১৫ই ফেব্রæয়ারী) প্রত্যুষেই বেনাপোলের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত কোমলমতি শিশুদের স্মরনে, বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দিনটি স্মরনে বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ হতে সকাল ১০টায় শোক র্যালী বের হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবে সারাদেশের ন্যায় এ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকায় এবার শোক দিবস পালনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। হৃদয় বিদারক এ দূর্ঘটনা যশোরের গন্ডি পেরীয়ে দৃষ্টি কেড়েছিলা সারা দেশের মানুষের।
নিহত শিশুদের স্মরনে প্রতিবছর এ দিনটি পৌর শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১৫ ই ফেব্রæয়ারী বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা মুজিবনগর শিক্ষাসফর শেষে বাড়ী ফেরার পথে চৌগাছার ঝাওতলা এলাকায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বাস ওল্টে ঘটনাস্থলে ৭জন কোমলমতি শিশু নিহত হন ও পরে ঢাকার সন্মলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২জন শিশু শিক্ষার্থী মৃত্যুবরন করেন।
শোকাবহ ঐ দিনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের ডিজি শ্যামলকান্তি বোস, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।শোকাবহ ঐ দিনটি আজো বেনাপোল বাসীকে ব্যাথিত করে।স্বজন হারানোদের আহাজারি আজো বেনাপোলের আকাশ-বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply