সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ঃ ২৩ বছর আগে সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বাড়ী করার স্বপ্ন দেখে কৃষক নিয়ামত আলী। এজন্য নিজ এলাকায় জমি ক্রয় করে দখলও বুঝে নেয়। বাঁকী ছিলো রেজিষ্ট্রিকরনের। দাতা পক্ষের নানা বাহানায় আজও তা সম্পন্ন হয়নি। ফলে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন আজ ধুসর হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ছোট ঘিকমলা এলাকায়। বালিয়াকান্দি উপজেলার ছোট ঘিকমলা গ্রামের কৃষক নিয়ামত আলী ১৯৯৮ সালে একই গ্রামের আছমত মৌলিক ,মমতাজ বেগম ও শাহিদা বেগমের কাছ থেকে ছোট ঘিকমলা মৌজার বিএস ২১৮ ও ২২০ এবং বড় ঘিকমলা মৌজার ১৮০১ ও ৩০০২ নং দাগের ১ একর ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ক্রয়ের পরই দাতাগন কৃষক নিয়ামত আলীর জমির দখল বুঝে দেয়। ফলে নিয়ামত আলী ওই জমিতে গৃহ নির্মান করে বসবাস শুরু করে।
এরই মাঝে নিয়ামত আলী ওই জমির রেজিষ্ট্রিকরনের জন্য দাতাদের অনুরোধ করলে তারা নানা অজুহাত দেখাতে থাকে। অবশেষে বিষয়টি গ্রাম্য সালিশ পর্যন্ত গড়ায়। সালিশে ক্রয় বিক্রয় ও টাকা বুঝে পাওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়। ফলে সালিশদারগন আছমত গংদের জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার রায় প্রদান করে।
৬-১-২০১০ ইং জমি রেজিষ্ট্রিকরনের দিন নির্ধারন হয়। দলিল লেখার কাজও সম্পন্ন হয়। দলিলে স্বাক্ষর করেন আছমত আলী ,মমতাজ বেগম ও শাহিদা বেগম। স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন আছমতের পুত্র নজরুল ইসলাম। এবার সাবরেজিষ্ট্রারের সামনে যাবার পালা। এসময় জরুরী কাজের কথা বলে সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে পালিয়ে আসে
আছমত আলী ,মমতাজ বেগম ও শাহিদা বেগম। থেমে যায় কৃষক নিয়ামত আলীর ১৯৯৮ সালে ক্রয়করা জমি রেজিষ্ট্রীকরনের পর্ব। এরপর নানা জায়গায় ধরনা দিয়েছে কৃষক নিয়ামত। কিন্তু কাজ হয়নি। কৃষক নিয়ামত আলী জানায়,বাড়ী ঘরের কাজ করতে গেলেই নানা ঝামেলা করে আছমতের পুত্র নজরুল ইসলাম। সে নানাভাবে হয়রানী মামলা দিয়ে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। এক মামলা খারিজ হতেই আরেক মামলা জুড়ে দেয়। এ পর্যন্ত ৪ টি মামলা দিয়ে আমার বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সব মামলাই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। চলতি মাসে আমার বসতবাড়ীতে ১৪৪ ধারা
জারি করে ঘরের মেরামত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply