মোঃইব্রাহিম, রাঙ্গামাটি,বাঘাইছড়িঃ-
আজ ভয়াবহ বাঘাইছড়ি ট্রাজেডি গত ২০১৯ সালের ১৮ই মার্চ আজকের দিনে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্টরা ফেরার পথে বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কে এগারোকিলো নামক বটতলা এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ব্রাশফায়ারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৮ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়।
এদিকে৷ নির্বাচনী সহিংসতার দুই বছর পার হলেও এখনো ধরা পরেনি মূল হোতারা। বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারক লিপি দিয়েছে আহত ও নিহত পরিবারের স্বজনরা। সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ এর সামনে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বাঘাইছড়ির সর্বস্থরের মানুষ অংশগ্রহণ করে।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এএসপি আবদুল আওয়াল মানববন্ধনস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ও নিহত পরিবারের স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি নিহতদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে শোকাবহ দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে । এসময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম এর সভাপতিত্বে ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ রহমতুল্লাহ খাজা, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোক্তার হোসেন সোহেল, নাগরিক পরিষদ নেতা মোঃ আবসার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন,দপ্তর সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা, প্রচার সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মুরাদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন,আজিজুর রহমান মানিক, মোঃ নুরুজ্জামান,মোঃ আব্দুর রহমান,মোঃ আতিকুর রহমান,মোঃ আব্দুর রহমান এবং নিহত আহতদের পরিবারসহ নানান পেশার মানুষ।
এসময়ে বক্তৃতারা বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা শান্তিপূর্ন নির্বাচন শেষে সদরে ফেরার পথে এগারোকিলো নামক স্থানে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ব্রাশফায়ারে নিরীহ আট’টি তাজা প্রাণ হারিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,এবং নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি,এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বক্তৃতারা আরো বলেন, মৃত্যুর বিবেচনায় এত বড় ট্রাজেডি বাঘাইছড়িবাসী এর আগে দেখেনি।ঘটনার পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর জিওসি মতিউর রহমান ,প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সেনাবাহিনী,পুলিশ,বিজিবি,আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ,তারা শুনিয়ে গেছে আশার বাণী,দিয়েছে কিছু নগদ অর্থের সহযোগিতা । যথারীতি ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করলে বিভিন্ন সময় ১৫ জন আটক হলেও ঘটনার মূল হোতারা রইল ধরা ছোয়ার বাইরে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এইসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কে,নির্মূল করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি নিহতদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপন করতে হবে,যদি প্রশাসন করতে না পারে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply