নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও অর্থ-বাণিজ্য এর প্রতিবাদে কোটালীপাড়া হেমায়েত বাহিনীর ১৪৪ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা আজ হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে কাফনের কাপড় পড়ে অনশন ধর্মঘট করেছে।
অনশনরত বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেন প্রত্যেকের নিকট থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা যাচাই বাছাই কমিটির লোকেরা হাতিয়ে নিয়েছে। আর এই টাকা সংগ্রহ করার দালালী করেছেন চারজন লাল মুক্তিবার্তা সম্পন্ন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তারপরও ১১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দ্বিধাবিভক্ত তালিকায় রেখেছেন। এবং ২৬ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন।
তারা বলেন মন্ত্রণালয়ের ( জামুকা) যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা চাহিদা মোতাবেক সুদীর্ঘ ৫০ বছর পার হলেও তাদের মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণক দাখিল করেছেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কমিটির সদস্য সচিবের সরকারি দপ্তরে রুদ্র দ্বার শলা পরামর্শ করে দুর্নীতির মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি উক্ত কমিটিকে 5 লক্ষ টাকা নগদ ক্যাশ দিয়েছেন কিন্তু চুক্তির বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে পারেননাই বলে তাকে দ্বিধা-বিভক্ত তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, যারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তারা প্রত্যেকেই ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪/৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ হিসেবে কমিটিকে দিতে বাধ্য হয়েছে। কারণ টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধা থাকবে না এই ভয কমিটির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে।
অতএব সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নিকট তাদের দাবি এই ভেলকিবাজি ও প্রহসনের যাচাই-বাছাই বাতিল করে সঠিক যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে তাদের কে মুক্তিযোদ্ধার সঠিক তালিকায় নাম প্রকাশ করা হোক। অন্যথায় অনতিবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জাতির ভরসাস্থল জননেত্রী শেখ হাসিনার শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করণীয় থাকবে না।
তারা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে সাড়া দিয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। তাই বঙ্গবন্ধু তনয়া আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী ছাড়া আর কোন ভরসাস্থল আমাদের নেই।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply