রাকিব হোসেন শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চরভূইয়া গ্রামে হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেধাবী ছেলে ছাত্র নাঈম হাওলাদার হত্যার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এই হত্যার সাথে জড়িত কোন আসামিকে এখন পযন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহত নাইম হাওলাদার স্থানীয় হাঁটুরিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্র।
হাবিবুর রহমান হাওলাদারের মেধাবী পুত্র নাঈম হত্যার পর থেকেই শোক থামছে না নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিছক একটি ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে গত ১৬ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে দুবৃর্ত্তরা বসতঘরে ঢুকে নাইমকে মাথায় ও কোমরে আঘাত করে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
একই সময় দুবৃর্ত্তরা নাঈমের বড় ভাই কামাল হোসেনকে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার শব্দ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশী ও চাচাতো ভাই ছালাউদ্দিন ও সুমন ছুটে এসে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় নাইমকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করলে পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই কামাল হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় সন্দেহভাজন প্রতিবেশী জাকির হোসেন বেপারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় মোতালেব পাইক ও মহসীন বেপারী জানান, হাবিবুর রহমান হাওলাদারের সাথে স্থানীয় অলিল বেপারী ও জাকির হোসেন বেপরীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে তারা হাবিবুর রহমান হাওলাদারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। নিহতের ভাই মামলার বাদী কামাল হোসেন বলেন, ছোট ভাই নাইমকে হত্যার পর দুবৃর্ত্তরা ঘরে ঢুকে আলমারীতে থাকা নগত টাকা, স্বর্ণালংকার ও দলিলপত্র নিয়ে যাবার সময় বাঁধা দিলে দুবৃর্ত্তরা তার মাথার লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মিয়া বলেন, অনেক দিন ধরে দুই পরিবারের মাঝে জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। একত্রে বসে আমরা মীমাংসা করে দিয়েছি। কিন্তু কে বা কারা হঠাৎ করেই এরকম একটা ঘটনা ঘটালো আমি তাদের কে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার দাবি করছি। গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামি গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply