নিজস্ব প্রতিনিধিঃআনোয়ার হোসেন যশোর থেকে।
যশোরে আবারও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগী। বর্তমানে প্রতিদিন নতুন করে আশঙ্কাজনকহারে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ শনাক্ত। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯ জন, শার্শায় একজন ও অভয়নগরে তিনজন রয়েছেন।
গত দু’মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম ছিল। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে নেমে আসে স্বস্তি। এরইমধ্যে মার্চ মাসে ফের করোনা শনাক্তের হার নতুন করে ঊর্ধ্বমুখি হয়ে পড়ছে।
যশোরে করোনা শনাক্তের হার ফের ঊর্ধ্বমুখি হওয়ায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সাতটি নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আগামী ১ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সকল ধরনের জনসমাগম, মিছিল, সমাবেশ, উৎসব, মাহফিল, ধর্মসভা সহ কোনো আয়োজন করা যাবে না। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। হাট-বাজারে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সকল খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁয় আসন সংখ্যার ৫০ ভাগের বেশি গ্রাহক প্রবেশ করতে পারবে না। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী বহন করা যাবেনা।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে একশ’ ১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ টির ফলাফল পজিটিভ এসেছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার নয়শ’৭৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার একশ’ ১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন চার হাজার আটশ’ ১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের।
এদিকে,সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর শহরের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। চিত্র দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস বলে কিছু নেই! এ কারণে মনে হচ্ছে মানুষ করোনাকে ভয় পাচ্ছেন না। এছাড়া রাস্তাঘাট, সড়ক, মোড়, ফুটপাত, পাইকারি খুচরা বাজার সর্বত্রই ভিড় করছে মানুষ। গায়ে গা ঘেঁষে চলছে তারা। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কারো কারো মাস্ক থাকলেও সেটি যথাযথ না। যেসব প্রতিষ্ঠানে হাত ধোঁয়ার জন্য সাবান পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাও এখন নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যশোরের স্বাস্থ্যবিভাগ।
সিভিল সার্জন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তালিকা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply