টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের বাসাইলে ভূমিদস্যু, প্রতারক ও মামলাবাজ সম্রাটট সাইম সিরাজের সন্ত্রসী কবল থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসাইল প্রেসক্লাবে ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার লাভলী ও তার পরিবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুন নাহার লাভলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা ওয়ারিশগণ দলিল ও পৈর্তৃকমূলে বাসাইল পৌরসভার ব্রাক্ষণপাড়িল মৌজায় বিভিন্ন দাগের জমি ভোগ করে আসছি। আমার শ্বশুর আকমল হোসেন খান ও স্বামী আনোয়ার হোসেন খান মৃত্যুর সময় ওয়ারিশগণের মধ্যে রেখে যান আমার শাশুড়ি ও দুই দেবর এবং তিন ননদকে। আর স্বামী আনোয়ার হোসেন খান মৃত্যুবরণকালে দুই ছেলে এক মেয়ে রেখে যান। এক ছেলে ও এক মেয়ে নাবালক। এখন আমার ফুফু শাশুড়ির ছেলে আর তার মেয়েরা আমাদের জমিজমার ওপর মিথ্যা ওয়ারিশ দাবি করে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমকি ও প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। এবং চরমভাবে হয়রানী করছে। সাইম সিরাজের নেতৃত্বে তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্য বিভিন্ন সদস্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত বাসাইল থানা ও টাঙ্গাইল আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে
বিষয়টি সুষ্ঠু মীমাংসার জন্য ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর স্থানীয় কাউন্সিলরসহ মাতাব্বরদের সমন্বয়ে সালিশি বৈঠক বসা হয়। কিন্তু ওই সালিশি বৈঠকে আমার ফুফু শাশুড়ির বড় ছেলে সম্রাট সাইম সিরাজ উপস্থিত হয়নি।
সাইম সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, জাল টাকার ব্যবসা, একাধিক বিবাহ, নারী পাচারকারীর সাথে জড়িত এবং জেলও খেটেছে বলে তার দাবি।
তিনি আরও বলেন, সম্রাট সাইম সিরাজ আমাদের গ্রামে এসে একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এখন সে এডিবি অপরাধ দমন ব্যাটালিয়নের সিও ‘র পরিচয় দিয়ে আমাদের গ্রামের অন্যান্য লোকদের হয়রানি করছে। এছাড়াও সাইম সিরাজের ভাই শামছুল আলম, ফজলু মিয়া ও তার ভাতিজা তানভির আহমেদ এবং তাজবির আহমেদ এলাকায় দাপটে চলে। বিভিন্ন সময় তার পরিবারের লোকদের দিয়ে আমাদের নামে মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি আমার দেবর ছানোয়ারের বাড়ি ভাংচুর করে সাইম সিরাজসহ তার পরিবার। এসময় ছানোয়ারকে না পেয়ে তার স্ত্রী রশিদা খানমকে মারধর করে। জমিজমা নিয়ে বাসাইল পৌরসভার মেয়রের কার্যালয় ও গ্রাম পর্যায়ে একাধিকবার মীমাংসার জন্য বসা হয়। কিন্তু সাইম সিরাজ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সালিশে আসেনি। এক পর্যায়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা কার্যালয়ে মেয়রের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে সাইম সিরাজ উপস্থিত হন। সেখানে মাতাব্বররা জমির কাগজপত্র পর্যালোনা করে সাইম সিরাজ বিভিন্ন দাগে ৫৫ শতাংশ জমি পান। সাইম সিরাজ ও তার অন্যান্য ভাই যেখানে বাড়ি তৈরি করে রয়েছেন সেটি আমাদের কওলার জমি। কিন্তু তারা জোরপূর্বক জমিটি দখল করে রয়েছেন। এখন তারা বাড়ি থেকে নামছেন না। এর পরেও ওই জমির পাশেই ২৪৮ খতিয়ানের ৫২ দাগের ৮৭ শতাংশ জমিটি দখলের পায়তারা করে মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। সাইম সিরাজ ও তার পরিবার যেসব দাগে ওয়ারিশ পাবে আমরা সেটি দিতে রাজি আছি। কিন্তু তিনি অযৌক্তিকভাবে দুই দাগ থেকে বন্টনের দাবি করছে। এই মামলাবাজ সম্রাট সাইম সিরাজের হাত থেকে রক্ষা ও বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নাজমুন নাহার লাভলীর দেবব ছানোয়ার হোসেন খান, সারোয়ার হোসেন খান, জা রশিদা খানম, মায়া বেগম, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মুন্নান, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট তহির উদ্দিন প্রমুখ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply