কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এম. সোহাইল চৌধুরী
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার হওয়া ১৮ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৩ জন শিশু, ১০ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ। এসব রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং সহ বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। আটক দালালরা হল, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া জালিয়াঘাটা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের স্ত্রী রশিদা বেগম (৩০) এবং একই এলাকার মোহাম্মদ মুসার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২০)।
ওসি হাফিজুর বলেন, মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে জড়ো করা হয়েছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন একটি বাড়ীতে জড়ো করা অবস্থায় ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুই দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়।
‘উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩ জন শিশু, ১০ জন নারী ও ৫ জন পুুরুষ। তারা উখিয়ার কুতুপালং সহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।’
ওসি বলেন, ‘সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের বিষয়টি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের হস্তান্তরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান হাফিজুর রহমান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply