নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন যশোর থেকে।
যশোর একদিনে তিন শত ৩৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৫ জন। যা এ যাবৎকালের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ১৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনায় ও আটজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। ১৫ জনের মধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে ১০ জন। হাসপাতালে যারা মারা গেছেন তারা হলেন,যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়ার আনোয়ারা বেগম (৭০), ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার আবুল হোসেন (৬৫), যশোর নিউমার্কেটের রাবেয়া খাতুন (৫৫) ও কোহিনুর বেগম (৫৫), ঝিকরগাছার গদখালীর মারুফ হোসেন (৬৫), ছুটিপুরের তোফায়েল (৭৮), পানিসারা গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৫২), চৌগাছার দশপাখিয়া গ্রামের আনিছুর রহমান (৩৫), যশোর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের রাবেয়া (৮০) ও জামতলা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০)। এদের মধ্যে আনোয়ারা বেগম ও আবুল হোসেন রেডজোনে এবং বাকি আটজনের ইয়োলোজোনে মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান,গতকাল শুক্রবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে যশোর পাঁচশ’ ২৮টি নমুনা পরীক্ষায় তিনশত ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, খুলনায় ৩৩ টি নমুনায় সাতজন এবং ৫০ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত যশোর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার সাতশত’ ১৭ জন। সুস্থ হয়েছে ছয় হাজার আটশ’ ৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে একশত’ ২৬ জনের।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের রেডজোনে ও আটজনের ইয়োলো জোনে। বর্তমানে রেডজোনে চিকিৎসাধীন ৮১ জন ও ইয়োলোজোনে আছে ৬৮ জন।
২৩ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর চাঁচড়ার আনোয়ারা বেগম ইয়োলোজোনে ভর্তি হন। ২৪ জুন তার করোনা শনাক্ত হলে রেডজোনে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
গত ২৪ জুন করোনা আক্রান্ত হয় মহেশপুর পৌর এলাকার আবুল হোসেন হাসপাতালের রেডজোনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জুন রাত ১টা ২৮ মিনিটে মৃত্যু হয় তার।
সিভিল সার্জন আরও জানান, করোনা থেকে রেহাই পেতে হলে অবশ্যই সবাই কে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এখনই স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply