আনোয়ার হোসেন তরফদার ভালুকা ময়মনসিংহ ঃ
ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বগাজান গ্রামে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছেন রোকেয়া বেগম নামে এক নারী শ্রমিক। তিনি বগাজান গ্রামের স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি একই ইউনিয়নের নিজুরি গ্রীন টেক্সটাইলের একজন শ্রমিক। প্রতিদিনের ন্যায় অফিস ছুটি হওয়ার পর আনুমানিক রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দুই থেকে তিনজন ছিনতাইকারী তাকে জাপটে ধরে উত্তর পাশের কাঁঠালবাগানে নিয়ে যায়। প্রথমেই ছিনতাইকারীরা রোকেয়া বেগমের গলার চেইন এবং সাথে থাকা নগদ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা সহ মোবাইলটিও নিয়ে যায়। সবকিছু নিয়ে যাওয়ার পর রোকেয়া ছিনতাইকারীদের নিকট তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি মিনতি করতে থাকে কিন্তু ছিনতাইকারীদের মধ্যে রোকেয়া স্থানীয় জাহাঙ্গীরের ছেলে সুমন কে চিনে ফেলায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছিনতাইকারীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কিল-ঘুসি সহ শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং কাদাযুক্ত অল্প পানির গর্তে ফেলে দেয়।
ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রোকেয়া চিৎকার দিলে স্থানীয় সামাদ মিয়া (যিনি পাশেই মাছ ধরছিলেন) তিনি ছুটে আসেন অতঃপর ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায় এবং সে জানে রক্ষা পায়। ঘটনার রাতেই রোকেয়া বেগম তার স্বামী আমিনুল ইসলাম কে সাথে নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কাদাযুক্ত শরীর নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় ছিনতাইয়ের নেতৃত্বদানকারী এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী সুমনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুই-তিন জন সহ রাতেই অভিযোগ দায়ের করেন।
এই বিষয়ে মেদুয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার রাণীর কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন রোকেয়া আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। যেহেতু বাদীপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রোকেয়া বেগম বলেন আমি বগাজান গ্রামের সন্তান গ্রীন টেক্সটাইল আমার বাড়ি থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয় তাই পায়ে হেঁটে অফিসে যাওয়া আসা করি।
যদিও এলাকার মাদকাসক্ত বখাটে কিছু ছেলে এই রাস্তায় ছিনতাই, ইভটিজিং সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে প্রতিনিয়ত, অধিকাংশই বাহির থেকে আসা চাকরিরত লোকজনের সাথে কিন্তু স্থানীয় হয়েও আমি তাদের শিকার হবো ভাবতেও পারিনাই। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় একজন বলেন এলাকার হাইব্রিড কিছু নেতা এসব বখাটেদের নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য লালন পালন করে আসছেন আগে হেগোরে ধরেন সব ঠিক হয়ে যাইব। বাপের ভিটা মাটি নাই অথচ সারা দিনে তিন প্যাকেট বেনসন লাগে! এরা এত টাকা পায় কোথায়। চুরি, ছিনতাই ছাড়া তো আর কোন কাজ করতে দেহিনা।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply