টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে গত এক সপ্তাহে ঝিনাই নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় হাঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে।ইতোমধ্যে প্রায় ১০/১৫টি ভিটাবাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই বাড়ি ঘর ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ স্থানে। আবার অনেকেই শেষ সম্বল বসত ভিটে হারিয়ে হয়ে পড়ছে আশ্রহীণ।
এছাড়াও প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে পাকা সড়ক, খেলার মাঠ, হাট-বাজার, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার দাবি ভূক্তভোগিদের। এখনই ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে বিলিন হবে বসতবাড়িসহ অনেক গুরুত্বপুর্ণ স্খাপনা। ছিন্নমূলের তালিকায় যোগ হবে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
সরে জমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার নদী তীরবর্তী ফুলকি, কাশিল, কাঞ্চনপুর,ও হাবলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকার অন্তত অন্তত অন্তত অন্তত অন্তত ২০টি গ্রামে ইতোমধ্যে ভাঙ্গান দেখা দিয়েছে। এতে ফুলকি ইউনিয়নের দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি এবং একঢালা। কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর, দেউলী, কামুটিয়া, নথখোলা, কাশিল, থুপিয়া, নাকাছিম ও বিয়ালা। কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাজিরাপাড়া, বিলপাড়া, মানিকচর ও আদাজান। বিলপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রধান মন্ত্রির উপহার বীর নিবাস ভাঙ্গন কবলে। যে কোন মহুর্তে বিলিন হওয়ার আশংকা।
স্থানীয়রা বলেন, সারা বছরই ঝিনাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বালু খেকোদের দখলে থাকে। ড্রেজার ও বেকু দিয়ে অবৈধ বলু উত্তোলণের সাথে থাকে প্রভাবশালীদের হাত। দায়সারা দু’একটি অভিযান ছাড়া প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যময়। প্রতি বছর নদী থেকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলনের কারনে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে।
কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত খুসরু খান জানান, আমার ভিটাবাড়ি যে টুকু ছিল, সবই নদীতে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে বসবাস করার মতো জায়গাটুকুও নেই।
ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ঝিনাই নদী তীরবর্তী দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি পশ্চিমপাড়া ও একঢালা এলাকায় আলকাছ, শামছু বাদশাসহ প্রায় ১০ টি ভিটাবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক কৃষকের আদাবী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে দোহার পয়েন্টে ভাঙ্গন কবলিত বাধ সংস্কারের কাজ চলছে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন,নদী ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। গত বর্ষায় কামুটিয়া পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়া ঝিনাই নদীরক্ষা বেরিবাধটি ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সংস্কার করা হচ্ছে। এ বছর চলতি সপ্তাহে দোহার পয়েন্টে ভাঙ্গন মোকাবেলায় তাৎক্ষনিক কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছে, ভাঙন রোধে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ অব্যাহত আছে। নতুন করে ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্ট গুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতি বছর অস্থায়ী ভাঙ্গনরোধে শুধু টাকাই অপচয় হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী পরিকল্পনা নেয়া জরুরী। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এসব প্রকল্প দ্রুত পাশ করানোর জন্য তিনি আজকের পত্রিকার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply