মাহমুদুল হাসান,যেিশার প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল ট বাজারের চুরিপট্টি এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। শনিবার(১৭জুলাই) সকাল আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনা স্থলে পৌঁছে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অগ্নিকান্ড এলাকায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্থানীয়রা জানান,ভোর ৫.৩০ মিনিটের দিকে কাঁচাবাজারের চুরিপট্টি এলাকায় অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে বিকট শব্দ হলে মূহুর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়।পরে ঐ আগুনের লেলিহান শিখা দাও দাও করে জ্বলতে থাকে ও পাশ্ববর্তী দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।ঐ এলাকায় একটি গার্মেন্টেস এর দোকান সহ প্রায় ২৫-৩০ কসমেটিক্স,২/৩ টি সুতার দোকান ও ৭/৮ টির মতো মুদি দোকান রয়েছে। প্রজ্বলিত অগ্নিকান্ডের মুখে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস,কাঁচা বাজারের লেবার ও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানিদের স্বজনদের সহযোগীতায় তালা ভেঙ্গে অন্যান্য দোকানের মালামাল উদ্ধার করা গেলেও ৪/৫টি দোকানের মালমাল সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সম্পূর্নরুপে আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গুলো হলো স্টেশনারী দোকান রাসেল স্টোর,রহিম স্টোর,একটি গার্মেন্টস দোকান ও ১টি চায়ের দোকান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেন। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দীর্ঘ সময় লকডাউন শেষে সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি মেলায় অত্র এলাকাটির সকল ব্যবসায়ী ঈদ কালীন বিক্রয়ের জন্য নতুন করে গতকাল সকালে মালামাল তুলেছেন বলে জানা গেছে। অগ্নিকান্ড সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বেনাপোল বাজার ব্যবসায়ীক কমিটির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ দুদু ৪/৫টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ন আকারে পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ভোররাতে ঘুমের সময় অগ্নিকান্ড ঘটায় দোকান বন্ধ থাকার কারনে ব্যাবসায়ীকরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান,আনুমানিক কোটি টাকার কাছে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তাদের। অগ্নিকান্ডের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। অগ্নিকান্ড ঘটনা এলাকায় বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভ’মিকা লক্ষনীয় ছিলো। উৎসুক জনতার ভিড় সামলানো সহ দোকানীদের মালমাল বের করতে সাহায্য করেছে তারা।আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে বেনাপোল ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ রোকন কুমার দেবনাথ গন্যমাধ্যম কর্মীদের জানান,আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে ও ড্যম্পিং এর কাজ চলছে। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানানো হবে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীদের মালামাল পুড়ার সাথে পুড়েছে পরিবারের সদস্যদের স্বপ্ন। আগুনের লেলিহান শিখা হতে পরিবারের যুবক,নারী,শিশু সদস্যরা মিলে একত্রে চেষ্ঠা করেও বাঁচাতে পারেনী তাদের দোকানের মালামাল। তাই আসন্ন ঈদ উৎসব তাদের কাছে মলিন। হতাশা আর দুঃচিন্তায় সড়কের উপর বসে কাদতে দেখা যায় অনেক পরিবারের সদস্যকে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply