আনোয়ার হোসেন তরফদার, ভালুকা প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কিশোরী গার্মেন্টস কর্মীকে একটি যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিক্টিমের বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত গাড়ীর ড্রাইভার ও ২ হেলপারকে ওই যাত্রীবাহী বাসসহ আটক করেছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ১৫ই আগষ্ট রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডষ্টোর বাজার থেকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ‘কথা আছে’ বলে ১৫বছরের কিশোরী ওই মেয়েকে ‘ফুসলিয়ে’ মায়ের দোয়া পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে তুলে। পরবর্তীতে ওই কিশোরীকে নিয়ে বাসটি ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের জনৈক কদ্দুসের গ্যারেজের পাশে রাত ১০টার দিকে বাসটি থামিয়ে বাসের ভিতরে ড্রাইভার রহিম (৩০) ও হেলপার মামুন(২৫) ও আশরাফ (২২) সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় গাড়ীর ড্রাইভার রহিম মিয়া ওই কিশোরী মেয়েটিকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় লবণকোটা ভাড়া বাড়ীতে পৌছে দেয়। পরবর্তীতে ওই ভিক্টিমের বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযোক্ত ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার সকালে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম জানান, কিশোরী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি গামের্ন্টসে চাকুরী করে। মামলা হওয়ার পর আমরা ৩জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। ২জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেসনিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply