বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোর জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম-দূর্নীতি এখন চরমে। নৈশ্য প্রহরী রুস্তমের লাগামহীন ঘুস বানিজ্যে অতিষ্ট নকলনবীশ সহ সেবা প্রত্যাশিরা। অভিযোগ করেও মেলেনা সুফল উল্টো পেতে হয় হয়রানী। তার সমস্ত অপকর্মের অদৃশ্য ছায়া সঙ্গী বিতর্কিত সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জু দাস। সামান্য নৈশ্য প্রহরী হয়েই পরিচালনা করেন সরকারী গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান।
শার্শা উপজেলার স্বরুপদা গ্রামের পেশায় চা বিক্রেতা ইব্রাহীম শেখের একমাত্র পুত্র রুস্তম আলী শেখ। ২০১৩ সালে মাস্টার রোলে ৩ হাজার টাকার কম বেতনে নিয়োগ পাই রুস্তম। অবৈধ্য আয়ে মাত্র ৭ বছরের ব্যাবধানে হয়েছেন কোটিপতি, নামে -বেনামে কিনেছেন অঢেল সম্পত্তি। ছত্রপতি রুস্তম নৈশ্য প্রহরীর চাকরি করলেও মূলত দিনের অফিস চালানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরচা ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি, খাজনা পরিশোধ বিহীন জমি রেজিস্ট্রি,জমির শ্রেনী বিন্যাস করে সরকারী রাজস্ব আত্নসাত এর মত নানা অবৈধ্য কর্মযঙ্গে পটু নৈশ্য প্রহরী রুস্তম। বিনিময়ে দলিল প্রতি নেন ৫ হতে ২০ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দলিল লেখক জানান, কোন নকলনবীশ তার সন্মতি ছাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন না। এজন্য দলিল প্রতি তাদের গুনতে হয় সর্বনিন্ম ১২শো টাকা। শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নৈশ্য প্রহরি রুস্তমের আধিপত্য ও দূর্ণীতি নিয়ে জাতীয় পত্রিকা যুগান্তর,ইনকিলাব ও আঞ্চলিক সনামধন্য পত্রিকা নোয়াপাড়া,গ্রামের কাগজ সহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে নাম মাত্র শোকজ হয় রুস্তম। অঞ্জু দাসের তদবিরে নৈশ্য প্রহরির দায়িত্ব পালন না করেও অধ্যবধি শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে স্বপদে বহাল রয়েছে সে। স্থানীয়রা জানান, সাবরেজিস্ট্রি অফিস রুস্তমের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে, টাকা ছাড়া দলিল সম্পন্ন করা যায়না। এ বিষয়ে শার্শা সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জু দাসের নিকট জানার চেষ্ঠা করেও সাহ্মাৎ না মেলায় ও পরে ফোন না ধরায় বিবৃতি জানা যাইনী। অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত রুস্তমের সাথে কথা বললে সে জানাই, একটি চক্র তার পিছনে লেগেছে এবং তার সকল অভিযোগ তদন্তধীন রয়েছে। একজন নৈশ্য প্রহরী হয়েও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আধিপত্যের অভিযোগ প্রশ্নে তিনি জানান, ডি আর,ইডি আর সবাই টাকা খায় তাই সংবাদ প্রকাশেও তার কোন সমস্যা হয়না। মুঠো ফোনে জলা রেজিস্ট্রারের সহিত কথা বললে, তিনি জানান, রুস্তমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি উর্দ্ধতনদের জানানো হয়েছে।
ভূক্তভোগীদের দাবি অতিদ্রæত শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম-দূর্নীতি সহ জিম্মি দশার অবসান ঘটিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি পূনঃ উদ্ধার হোক। উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর শার্শায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের সভাপত্তিতে ও যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সঞ্চালণায় প্রধান দূর্নীতি দমন কমিশনের উদ্দ্যেগে প্রকাশ্য গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। গন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দূর্নীতি দমন কমিশনার ( তদন্ত ) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। শার্শা উপজেলার সরকারী ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান দূর্নীতি দমন কমিশনের জবাবদিহী মূলক অভিযোগের মুখোমুখি হয়। জবাবদিহীমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় শার্শা সাবরেজিস্ট্রার কার্য্যলয়ের অবস্থান ছিলো তিন নাম্বারে।
প্রতিষ্ঠানটির উর্দ্ধতনদের গাফিলতায় সরকার একদিকে যেমন প্রকৃত রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে অপর দিকে নৈশ্য প্রহরী রুস্তমের মত সুবিধাভোগীরা সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply