মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বিষয়ঃবগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন সকল আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের দৃষ্টি আকর্ষন
বগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাউফল উপজেলার এককালের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের সভাপতির দ্বায়ীত্ব নেওয়ার পর থেকেই পিছিয়ে পরে বিদ্যালয়টি। ২২ টি দোকানের ভাড়া ১৫০০/- করে মোট=১৫০০×২২=৩৩০০০/- প্রতি মাসে। তাহলে প্রতি বছরে ৩,৯৬,০০০/-। মোতালেব হাওলাদার বগা স্কুলের সভাপতি ছিলো ১৫ বছর যাব। তাতে এই ১৫ বছরে তার বিদ্যালয়ের দোকান থেকে আয় =৫৯,৪০,০০০/- এবং দোকানের এডভান্স বাদ ১,০০,০০০/- করে ২২ টি দোকানের এডভান্স নিয়েছে =২২,০০,০০০/-।
এছাড়াও ১২০০ ছাত্রের সেশন ফি,স্টুডেন্ট টিউশন ফি,পরীক্ষার ফি ও স্পোর্টস ফি, সার্টিফিকেট, ফরমফিলাম চার্য(জেএসসি ও এস এসসি), রেজিস্ট্রেশন চার্য ও অন্যান্য বাবদ মোট বাৎসরিক আয় প্রতি স্টুডেন্ট বাদ ২০০০/- বা১২০০ ছাত্রের থেকে দাড়ায় ২০০০×১২০০×১৫ বছর= ৩৬,০০,০০০/-।
মুরগী পট্রি নামে যে গলি আবিষ্কার করেছে হাসপাতাল ও নসুমোল্লার ছেলে নয়ামোল্লার জায়গা দখল করে সেখানে দোকান ১০টি এবং এডভান্স প্রতি দোকান=২,৫০,০০০/-করে মোট=২৫,০০,০০০/- এবং ১০ টি দোকানের ভাড়া প্রায় ১৫০০/- করে প্রতিমাসে =১৫,০০০/- এবং বছরে =১,৫০,০০০/-।
হাসপাতালের পুকুর দখল করে মাছ চাষ বাবদ প্রতিবছর আয়=১০,০০,০০০/-।
সভাপতি পদ হাড়ানোর আগে অফিসিয়াল পোস্টে পাচটি নিয়োগ বানিজ্য করে ঘুষ নিয়েছেন =৩০,০০,০০০/-।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিপদে পরে যান এবং সভাপতির পদটি হারান।
এছাড়াও দীর্ঘ ১৫ বছরে একচেটিয়া সভাপতি থাকার সুবাদে নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১,০০,০০,০০০/- (এককোটি)। এছাড়াও সাবুপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তার পুকুরটি থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা। বগা ইয়াকুব শরীফ কলেজের যাবতীয় উন্নয়ন কাজের টেন্ডার বানিজ্য নিয়োগ বানিজ্য করে কামিয়েছেন প্রায় ১,০০,০০০০০/-(এককোটি)।
এছাড়াও দলীয় আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হবার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও টেন্ডার বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১০,০০,০০,০০০/-(দশ কোটি)।
বগা ইউনিয়নের রাজনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগন এবং রাজনৈতিক কর্মীরা ছিলো তার সন্ত্রাসী আচরনের কাছে জিম্মি। কেউ সামান্য প্রতিবাদটুকু করলেই তাকে পালিত টোকাই বা ইয়াবা ও গাজাখোড় দিয়ে অপমান করাতো। মোতালেব হাওলাদার এতটাই হিংস্র যে বগার কোন কর্মী যদি ভুলেও আসম ফিরোজ এমপির সাথে দেখা করতো বা চাকুরী চাইতে যাইতো তাহলে পরবর্তীকালে তার হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াইতো পালিত কিশোর সন্ত্রাসী দিয়ে।
বাউফল উপজেলার কিশোর বা পিচ্ছি সন্ত্রাসের গড ফাদার এই মোতালেব হাওলাদার। মেয়র জুয়েলের বাউফলে উত্থানে রয়েছে তার পরোক্ষ ভূমিকা। কেশবপুরের জোড়া মার্ডার ও তাপস মার্ডার এবং শহীদ ইব্রাহিম সেলিমের ভাই ফারুক চেয়ারম্যান এর উপর সন্ত্রাসী হামলায় রয়েছে তার সরাসরি ইন্দন। তবুও আসম ফিরোজ মহোদয় দল ও জনগনের শান্তি শৃঙ্খলার দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই সহ্য করতে বাধ্য হয়েছেন।
বগার জাকিরের বোনাই মার্ডারের নির্দেশ দাতা মোতালেব হাং এর বীরুদ্ধে মার্ডার মামলা চলমান। রাজনৈতিক বিবেচনায় বেচে গেছেন দুমকি জনতা কলেজের দুই কলেজশিক্ষক হত্যা মামলা থেকে। এই মোতালেব হাং বগা ফেরিঘাটের অবৈধ ইটখলা থেকে কামিয়েছেন প্রায় ১০০,০০,০০,০০০/-(একশত কোটি টাকা)।
স্ত্রী-ভাইসচেয়ারম্যান নিজে তিনতিনবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বড় ছেলে হাসান মাহমুদ যিনি দুমকি উপজেলার ইউএনও মহোদয়ের ইটেরভাটায় অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ কালে আওয়ামীলীগের মায়েরে চুদি বলে গালি দিয়ে মামলা খেয়েছেন তিনিও বর্তমানে বগা ইউনিয়নের নৌকার প্রতিকের চেয়ারম্যান। হয়তোবা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যায়নি আওয়ামীলীগকে গালিগালাজের সেই ভিডিওটি। নারী কেলেঙ্কারি তে মোতালেব হাওলাদারের ঝুড়ি মেলা ভার। ইউটিউবে রেয়েছে তার সেক্সুয়াল পঁচিশ মিনিটের অডিও। সম্প্রতি ডাবল মার্ডার ও তাপস হত্যার খুনীদের নিয়ে মোতালেব হাওলাদার ভুড়িভোজ করলে বিষয়টি সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মোতালেব হাং কে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ জাতীয় বেঈমান স্বীকৃতি দিয়ে বয়কট ঘোষণা করেছে। বগা লঞ্চঘাট ও ফেরীঘাটের মেয়রের টেন্ডারের ফাদে পা দিয়ে দোষছে আ স ম ফিরোজ এমপি কে। বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগের নেতা আসম ফিরোজ এমপিমহোদয় বাউফল বাসীর প্রান পুরুষ এবং অভিভাবক। অথচ সম্প্রতি দলছুটের পর টোকাইদের দিয়ে ফেইসবুকে তাহার সম্মান হানির চেষ্টা সহ কুরুচিপূর্ণ লেখা লেখায়। বাউফল উপজেলার কিছু সাংবাদিকেরা মাশোয়ারা খেয়ে মোতালবের কাছে জিম্মি। আজ মোতালেব প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিক। তাহাদের মাটিতে পা পরেনা। সন্ত্রাসী মোতালেব গং মেরে পঙ্গু করেছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মমিনুলকে। সাবুপুরার যুবলীগের কর্মী ফারুক মৃধা ও সাবুপুরা স্কুলের সভাপতি ত্যাগি আওয়ামী লীগ কর্মী সাহাজাদা মৃধা কে শারীরিক ভাবে নাজেহাল করে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কালাম মার্ডারেও তার ইন্দন রয়েছে। এই মোতালেব হাওলাদার একদিন ফেইসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন যে অর্থের অভাবে মেয়েকে একটি ডিম পর্যন্ত কিনে দিতে পারেননি। এই মোতালেব বগায় হিন্দুদের জিম্মি করে যে যায়গা দখলে নিয়েছেন সেখানে আলিসান ভবনের কাজ ধরেছেন এবং সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বাস করেন টিনের ঘরে।
এই মোতালেবের কুকীর্তী লিখতে গেলে বছর পার হবে তবুও শেষ হবেনা। বগা ইউনিয়নের বহু হিন্দু সম্প্রদায় আজ এলাকা ছাড়া।শুধু তাই বিভিন্ন ইউনিয়নে সন্ত্রাসী চোর, বাটপার, লালন পালন করে তাদের কাছে থেকে নেয় মাশোয়ারা।
বগা ইউনিয়নসহ বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল স্তরের জনগনের একটাই দাবী দুদকের মাধ্যমে হিসেব নেওয়া হোক মোতালেবের অর্থ সম্পদের এবং সকল হত্যা মামলায় তার বিচার শুরু ও দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।
আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন, মোঃ মমিনুল ইসলাম গাজী, সভাপতি সেচ্ছাসেবক লীগ, বাউফল ইউনিয়ন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply