টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝিনাই ও বংসাই নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির প্রবল চাপে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া পাকা রাস্তার দুইটি পয়েন্ট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় ১০টি গ্রাম।
বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ হিসাবে পরিচিত। এ বাধটির বাসাইল দক্ষিণপাড়া ও আদাজানের মাঝামাঝি এলাকায় বাসাইল দক্ষিণপাড়া ও আদাজানের মাঝামাঝি এলাকায় বাসাইল দক্ষিণপাড়া ও আদাজানের মাঝামাঝি এলাকায় বাসাইল দক্ষিণপাড়া ও আদাজানের মাঝামাঝি এলাকায় রাস্তা ভেঙ্গে নতুন করে উপজেলার কাঞ্চনপুর, আদাজান, বিলপাড়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০ গ্রামের নিন্মাঞ্চলন প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের বাসাইল দক্ষিণ পাড়া রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়।এ ছাড়াও উপজেলার বিলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন সড়ক নদীগর্ভে ধসে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতবারের বন্যায় বাসাইল-নাটিয়া পাড়া সড়কে পৌরসভার বাসাইল দক্ষিণ পাড়া এলাকায় একটি সেতু ভেঙ্গে যায়। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। সড়কটি বাসাইল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়ন ইউনিয়নবাসীর আঞ্চলিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বাসাইল-টাঙ্গাইল সড়কে কোন কারনে যান চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হলেও বিকল্প হিসেবে এ সড়কটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাসাইল থেকে মির্জাপুরের সাথে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারায় অল্প দিনেই সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
সড়কটি ব্যবহার করে উপজেলার ঢাকাগামী যাত্রীরা অল্প সময়ে ঢাকা পৌছাতে পারে। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে এ সড়ক ব্যবহারকারী জনসাধারন।
এই সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, হাবলা। মির্জাপুর উপজেলার কুর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাসাইল উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষের বাসাইল সদরের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এই বাধ ভেঙ্গে উপজেলার কাঞ্চনপুর ছনকা পাড়াসহ অন্তত ১০টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। কথা হয় সিএনজি চালক আলিমেরর সাথে তিনি বলেন, এই সড়ক দিয়েই আমরা গাড়ি চালাই। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না।
বাসাইল দক্ষিণপাড়া পয়েন্টে রাস্তা ভাঙ্গন প্রসঙ্গে পথচারী মমিন মিয়া বলেন, সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ন। তাই এই স্থানে দ্রুত একটি বেইলি সেতু স্থাপন করে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেয়েই স্থানীয় সরকার প্রকৌল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উভয় দপ্তরের দুইটি টীম ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। অতিদ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষনে আমাদের একটি টীম পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে তথ্য উপাত্ত নিয়ে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকায় পাঠাব। যেহেতু জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তা ও মসজিদ রক্ষার বিষয়, তাই আশা করি তারাতারিই বরাদ্ধ পাওয়া যাবে। আর বরাদ্ধ এলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply