এম সোহাইল চৌধুরী জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার।
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে লোকালয়ে আসা এক মা হাতিকে বিদ্যুতের শট সার্কিটের ফাঁদে ফেলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে মৃত হাতিটির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং মীর্জা আলীর দোকান সংলগ্ন এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে স্থানীয় মানুষের শর্ট সার্কিটের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এ নৃশংশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান ইউএনও।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান- ৫/৬টি হাতি ওইসময়ে নুরুল ইসলামের ধান ক্ষেতে গিয়েছিলো। এসময় নুরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলোকে তাড়ানোর জন্য বৈদ্যুতিক শক দেয়। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে গেলেও এ হাতিটি বৈদ্যুতিক শক খেয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে মৃত হাতিটির দেহ খন্ড বিখন্ড করে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি আরো জানান- মঙ্গলবার হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৮জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান- চলতি বছরের শুরুতে ওই এলাকায় বন্যপ্রাণী রক্ষা বন বিভাগ সচেতনতামূলক সভা করেছিলো। কিন্তু সভাস্থলের পাশেই এ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরো জানান- এ ঘটনায় আটককৃত নজির আহমদ তার ছেলেকে নিয়ে এ হাতিটি হত্যার প্রাথমিক জিজ্ঞাষাবাদে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বন্য প্রাণী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মিজানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। নজির আহমেদ নামে একজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করা হয়েছে। বন-বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply