মাহমুদুল হাসান, যশোর জেলা প্রতিনিধি ঃ যশোরের শার্শা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বিতর্কিত নৈশ্য প্রহরী রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগের অফিসিয়ালি তদন্দ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ও সে বিষয়ে উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন যশোর জেলা রেজিস্টার। উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আসলেই বিতর্কিত নৈশ্য প্রহরী রুস্তমের বিরুদ্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আরো জানান। মাস্টাররোলে ৩ হাজারের কম টাকা বেতনে শার্শা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নৈশ্য প্রহরীর চাকরি নিয়ে লাগামহীন অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে রুস্তম আলী মাত্র ৭ বছর সময়ের ব্যাবধানে বনেছেন কোটিপতি। একাধিক জায়গায় বহুতল বিলাস বহুল বাড়ি, নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন শার্শা উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের চা বিক্রেতা ইব্রাহিম শেখের ছেলে রুস্তম আলী। খাজনা পরিশোধ ছাড়াই জমি রেজিস্ট্রি, লাখ লাখ টাকা চুক্তিতে জাল দলিল তৈরী, জমি মালিকের অনুপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করন, জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে (সরকারী রাজস্ব ফাঁকি) জমি রেজিস্ট্রি করাতে সিদ্ধহস্ত নৈশ্য প্রহরী রুস্তম। চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে একাধিক সনামধন্য পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে নৈশ্য প্রহরী রুস্তমের অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। র্শাশার সাব-রেজিস্টার অঞ্জু দাসকে ম্যানেজ করেই সে যাত্রা পারপায় নৈশ্য প্রহরী রুস্তম বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
মুঠো ফোনে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয়ে রুস্তম আলী সংযোগ কেটে দেন ও পরে ফোন বন্ধ করে রাখেন। নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব থাকলেও রাতে রুস্তমের অফিস চত্তরে তার দেখা না মিললেও দিনে সাব-রেজিস্টারের গুরুত্বপূর্ন কাজ করে সে। শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে জিম্মিদশায় পরিনত করে সরাসরি নকল নবীশদের কাছ হতে দলিল প্রতি নিন্মো ১২শো টাকা ঘুস আদায় করার অভিযোগ রয়েছে রুস্তমের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলিল লেখক জানাই, টাকা না দিলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোন কাজ হয়না ওল্টো হয়রানী পেতে হয়।
শার্শা-সাব রেজিস্ট্রি অফিসের চলমান অনিয়ম বিষয়ে জানতে অঞ্জুদাসের অফিস কক্ষে গেলে তিনি অফিসে না থাকায় বিবৃতি জানা যায়নী। শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পাশবর্তী একাধিক দোকান দ্বার সহ স্থানীয়রা জানান, সাব-রেজ্রিস্ট্রি অফিসটি দীর্ঘ বছর ধরেই অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হলেও হয়রানীরোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবী অচিরেই দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন পূর্বক সরকারী এ গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানটি দালাল ও দূর্নীতি মুক্ত করা হোক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply