নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন যশোর থেকে।
ঢাকার পরেই যশোর এই প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট চালু হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ই-পাসপোর্ট স্বল্প সময় গ্রাহক এর হাতে তুলে দিতে পারবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান টেকনিক্যাল প্রজেক্ট ডাইরেক্টর পিয়ার অ্যালেকজেন্ডার কুমারেক, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও যশোর পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৌসুমী ইসলাম, মেহেরিস ইসলাম, স্বপ্না ও আজিজুর রহমান এর ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
যশোর পাসপোর্ট অফিস সূত্র মতে, ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এরপর দেশ ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করে। বিশ্বের ১২০টি দেশে বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স পাসপোর্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ২৮ জুন যশোর অফিসে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ঢাকা থেকে পাসপোর্ট ছেপে যশোরে পাঠানো হতো। এরপর যশোর অফিস সেগুলো বিলি করতো। কিন্তু এবার ঢাকা থেকে ছাপানো যুগেরও অবসান হলো।
গতকাল রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ঢাকার পরেই এই যশোরেই প্রথম পার্সোনালাইজেশন সেলের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ই-পাসপোর্ট স্বল্প সময়ে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি ঢাকার পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে। চূড়ান্তভাবে এর মাধ্যমে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দৈনিক ২৫ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply