দুসস ডেস্কঃ দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী ভয়ংকর অপতৎপরতায় নেমেছে দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধী ও আগুনসন্ত্রাসের সিন্ডিকেট। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা, দেশে প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র করার অশুভ প্রয়াস নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিশালী এ চক্র চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য তারা বিশাল অর্থ ব্যয়করে ভাড়া করেছে সাইবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
তাদের কয়েকজন সেনানিবাসে অবাঞ্ছিত ও চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন আছেন বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধের মামলায় আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা মুখোশধারী ও ভুঁইফোড় সাংবাদিক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের চিহ্নিত করার পরও দেশের বাইরে থাকায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
এ সিন্ডিকেট প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কোনো ধরনের জবাবদিহি না থাকায় বেপরোয়াভাবে প্রতিনিয়ত বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে আগুনসন্ত্রাসের এই দেশদ্রোহী সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এ সিন্ডিকেট বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশ, সরকার, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মনে করেন, এ চক্রের পেছনে আছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা। আর টাকা ঢালছে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি।
শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীর মিথ্যা প্রচারণা থেকে জাতিকে সাবধান থাকতে হবে। দেশের বাইরে থাকা প্রায় এক ডজন শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তারা হলেন :
১.সুইডেন প্রবাসী ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল
২. কানাডা প্রবাসী সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর দেলোয়ার হোসেন,
৩. যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ও কোর্ট মার্শালে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে অবসরে যাওয়া সেনা কর্মকর্তা কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান,
৪. কানাডা প্রবাসী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম,
৫. সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস ও বিসিএস ’৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা মোহাম্মদ শামসুল আলম,
৬. শিবির ক্যাডার ও কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব,
৭. কানাডা প্রবাসী কথিত ব্যারিস্টার এম রহমান মাসুম,
৮. কানাডা প্রবাসী কথিত সাংবাদিক ও ইউটিউব ফেসবুকভিত্তিক ভুঁইফোড় চ্যানেল নাগরিক টিভির সিইও টিটো রহমান,
৯. পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপনে থাকা সাংবাদিক কনক সারোয়ার,
১০. রাজাকারের সন্তান দাবিদার ও চাঁদাবাজির মামলায় আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন,
১১. ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে যুক্তরাজ্যে আত্মগোপন করা প্রতারক সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর,
১২. বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফিচার লেখকের ভুয়া পরিচয় দেওয়া কথিত সাংবাদিক হাসিনা আক্তার।
এদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক চেয়ারম্যান/মহাসচিব হেলাল/মতিনের অবৈধ উৎপাদন। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর বর্তমান কথিত অবৈধ সভাপতি শেখ আতিকুর রহমান বাবুর ভগ্নিপতি কানাডা প্রবাসী সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম।
ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন টকশোতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তার প্রধান কাজ। বিএনপি-জামায়াত সাইবার চক্রের এই অন্যতম সদস্য সরকারবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত। কানাডায় বসবাস করে তারা একটি গ্রুপ গঠন করেছে। এ গ্রুপের কাজ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো।
ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম (অব.), ১৯৭৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীতে প্রথম বিএমএ লং কোর্সে কমিশন লাভ করেন। তার বাবা মৃত মোঃ মোছলে উদ্দিন মিয়াজী ছিলেন কৃষক। তার স্থায়ী ঠিকানা বাড়ি-১৭৬, লেন-২, ইস্টার্ন রোড, ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া থানার বিজরা-সংলগ্ন ঘোষপা গ্রামে। বর্তমানে তিনি কানাডার টরেন্টোতে থাকেন।
ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলামের শ্বশুর শেখ আবু তালেব জীবদ্দশায় যশোর সদর পৌরসভার সদস্য ছিলেন। ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম (অব.) ১৬ মে ১৯৮৪ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার সেনা সদর অ্যাডমিন উইং থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর-পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লন্ডনে অবস্থিত দূতাবাসে কর্মরত থাকাবস্থায় ১৯৮৭ সালের ১৭ আগস্ট সেখানকার ভাড়া বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যান তিনি। পরে তিনি স্বেচ্ছায় লন্ডনের পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছিলেন।
ক্যাপ্টেন (অবঃ) শহীদ ইসলামের শ্যালক শেখ আতিকুর রহমান বাবু (৫২) বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর বর্তমান কথিত অবৈধ সভাপতি। শেখ আতিকুর রহমান বাবু যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর পদ ব্যবহার করে বাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে।
শেখ আতিকুর রহমান বাবুর দুলাভাই ক্যাপ্টেন (অবঃ) শহীদ ইসলাম একসময় ডেইলি স্টার পত্রিকায় কাজ করেছেন। ডেইলি স্টারে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পত্রিকাটিতে সেনাবাহিনী সম্পর্কিত নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ করেন। কানাডায় অবস্থান করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন নেতিবাচক মতামত/মন্তব্য করে থাকেন। অফিসারদের নিয়ে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ২০১৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন You don’t follow law, so we declare war on you… Sheikh Hasina, you destroyed our motherland, we will destroy you inshallah’.
এ ছাড়া চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউব চ্যানেল কনক সরওয়ার নিউজে ‘প্রাণনাশের হুমকিতে জেনারেল আজিজ : সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের অফিসার ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলামের বিশ্লেষণ’ শিরোনামে একটি সরকার ও সেনাবাহিনীবিরোধী সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। তিনি অনবরত সরকার, সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভুঁইফোড় অনলাইন, ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে।
ক্যাপ্টেন (অবঃ) শহীদ ইসলাম মেস ওয়েটারকে লাথি মারার অপরাধে বিএএ সেকশন-৫৫ মোতাবেক ১৯৮০ সালের ৭ আগস্ট যশোর সেনানিবাসে ‘ভর্ৎসনা’ প্রাপ্ত হন।
ক্যাপ্টেন (অবঃ) শহীদ ইসলামেরমত ভয়ংকর দেশদ্রোহী সাইবার অপরাধীর অন্যতম সহযোগী হিসেবে জড়িত শেখ আতিকুর রহমান বাবুকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর কথিত অবৈধ সভাপতি পদে যারা অর্থের লোভে বসিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। তাদেরও এই অপরাদের সহযোগী দোসর হিসেবে বিবেচনায় আনা উচিত। ভয়ংকর দেশদ্রোহী সাইবার অপরাধীদের অন্যতম সহযোগী শেখ আতিকুর রহমান বাবু বর্তমানে আওয়ামীলীগের জেলা কমিটিতে স্থান করে নিয়েছে! এসকল ভয়ংকর দেশদ্রোহী ছদ্দবেশী অপরাধী থেকে দেশবাসীকে সাবধান হতেহবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply