নিজস্ব প্রতিবেদক। যশোর থেকে পালতোলা নৌকা বোঝায় করে বেনাপোলে ও নাভারণ গদ খালী ঝিকরগাছায় আসতো মাটির তৈরী থালা বাসন ও হাড়ি পাতিল গোলপাতা গড়ান কাট সুদুর সুন্দরবন হয়ে বিক্রয় করতে পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে। বনগ্রাম ২৪ পরগনা ভারতের বিভিন্ন জেলায় ব্যাবসায়ী বানিজ্য মেলায় চলাচল করতো পাল তোলা নৌকায় করে ১৯৭০সালের সত্তরের দশকের খরশ্রোত সেই বেতনা নদী শুধু মৃত প্রায়ই নয়, চলে গেছে ভুমি দস্যু প্রভাবশালীদের দখলে।
ঝিকরগাছার কপোতাক্ষ নদীর সাথে সংযোগে নাভারনের বেতনা নদীর সাথে মিশে বেনাপোল বাজারের পিছনের এলাকা দিয়ে প্রবাহিত বেতনা নদী গিয়ে মিশেছে ভারতের বনগাঁ ২৪ পরগনার ভারতে এলাকায় ইছামতি নদীতে। সে দিনের সেই প্রবাহমান জোয়ার-ভাটার বেতনা নদী আজ মৃত সম্পুর্ণ বিলীন হয়ে চলে গেছে। প্রভাবশালী ভুমি দস্যুদের দখলে।
১৯২৬ ছাব্বিশ সালের ভূমি জরিপের রেকর্ডে বেতনা নদী হিসাবে রেকর্ড ভুক্ত থাকলেও ১৯৬২ বাষট্টি সালের রেকর্ডে বেতনা নদীর প্রায় ৮ মাইল এলাকা ভুমি জরিপের সাথে সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে সরকারি সম্পত্তি ব্যাক্তিগত মালিকানায় চলে যায়। রাতারাতি যাত্রী খেয়া পারাপার ও মালামাল বোঝাই পাল তোলা নৌকা বন্ধ হয়ে যায়। চলমান নদীতে বাধ দিয়ে তৈরী করা হয় অসংখ্য পুকুর। সময় গড়িয়ে গেছে প্রভাশালীদের অনুকুলে।
নদী হয়ে গেছে পুকুর। চলছে দখলের মহা উৎসব, যে যেভাবে পারছে নদী দখল করে ভোগ করছে। নতুন নতুন বাড়ি ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর তৈরী হচ্ছে পতিত বেতনা নদীর অংশজুড়ে। দেখার কেউ নেই। খরশ্রোত বেতনা নদীতে এখন আর নৌকা চলেনা । অসংখ্য বাধ দিয়ে তৈরী হয়েছে শতশত পুকুর ও বাড়ি। প্রভাবশালীদের দখলে থাকা এসব পুকুর কিংবা বাড়ি গুলোর কারোর কাছে বাষট্রির রেকর্ড ও নামজারীর কাগজপত্র থাকলেও অনেকেরই কাছে নেই বৈধ কিংবা অবৈধ কোন কাগজপত্র।
গায়ের জোরে দখল করে করে খাচ্ছে তারা। নাভারনের বেতনা নদীর অবস্থা অবশ্য ভিন্ন। এটি দখল হয়ে গেলেও শার্শার উপজেলা পূর্ববর্তী নিবাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম একক প্রচেষ্টায় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে নদীর কিছু বাধ উম্মুক্ত করে দেন সে সময় সরকারী দলের অনেক প্রভাবশালী নেতার সাথে তার বিরোধ বাধায় প্রকাশ্যে রুপ নেয়। তার পরও তিনি থেমে থাকেননি।
সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন কে আটক করে জেল হাজতেও পাঠান। বেনাপোল শাখা বেতনা নদী উম্মুক্ত করার জন্য সে সময় তিনি মন্ত্রানালয়ে একটি চিঠিও পাঠান। তবে তার আকস্মিক বদলীতে থেমে যায় বেতনা নদী উম্মুক্ত করনের কাজ। এখন এক মাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয় টি আমলে নিবেন আশা ভরশা এলাকায় জনগণের প্রাণের দাবি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply