মোঃ শাহিন আলম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বহিস্কৃত নেতাকে পায়রা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দাওয়াত পত্র (এন্ট্রেন্সকার্ড) না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন ইউএনও। ইউএনও অবশ্য জেলা প্রশাসনের ওপর আমন্ত্রণের দায় চাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: নাঈম হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাস থেকে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ বের করে দুমকি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উত্যপ্ত বাদানুবাদে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসময় ইউএনও কার্যালয়ে পূর্বথেকে উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, পায়রা সেতুর উদ্বোধনী ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠন, সুশীল সমাজ ও মিডিয়া কর্মীদের তালিকানুযায়ী আমন্ত্রণ কার্ড বিতরণ করা হয়। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ওই অনুষ্ঠানের কার্ড দেয়া হয়। একই ভাবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের নামও আমন্ত্রণ তালিকায় রয়েছে। সভাপতি ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতির কারণে তার স্থলে বহিস্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেন ওই কার্ড দাবি করছিল। ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ এ অনৈতিক দাবি পূরণে অসম্মতি প্রকাশ করায় তিনি (নাঈম হোসেন) ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে ইউএনও’র ওপর চড়াও হন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো: নাঈম হোসেন নিজেকে পবিপ্রবি’র ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পাশ করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে আমিই কার্ড পাবো। ইউএনও সেই কার্ড না দেয়ায় কারণ জানতে গিয়েছিলাম। তাকে নাজেহাল করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনানুযায়ী সীমিত আকারে (এন্টেরেন্স কার্ড) দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত কাউকে আমন্ত্রণ কার্ড দেয়া যাবে না। অনৈতিক দাবদার পূরণ না করায় সে (নাঈম) ক্ষিপ্ত হয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজি, চাকুরির দাললীসহ নানা অনৈক ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে নাঈম হোসেন বহিস্কৃত হন। পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ইমেজ রক্ষায় কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরের এক প্রেসবিজ্ঞপিতে তাকে বহিস্কার করা হয়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply