আনোয়ার হোসেন। নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দুই দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী র‌্যালি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৮ই মার্চ) যশোর কালেক্টরেট থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি চৌগাছা, উপজেলা ও ঝিকরগাছা শার্শা বেনাপোল হয়ে যায়। আজ শনিবার র‌্যালিটি বাঘারপাড়া, উপজেলা ও অভয়নগর, মণিরামপুর কেশবপুর যায়।

জাতীয় পতাকা সজ্জিত বর্ণাঢ্য সাজে পাঁচ টি ট্রাক করে ৫০ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা এই শো র‌্যালিতে অংশ নেন। একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে এক পিকআপ পুলিশ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও জরুরি চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সময় র‌্যালিটি চৌগাছা শহরের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যে পৌছালে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোঃ মোস্তানিছুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভ্যর্থনা জানায়। এসময় উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন নাহার পপি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শওকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, চৌগাছা থানা এসআই বাচ্চু শেখ প্রমুখ তাদের সাথে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর রোড শো করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র‌্যালিটি চৌগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে যায়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর রোড-শো করে উপজেলা পরিষদে যায় সুবর্ণজয়ন্তী র‌্যালিটি।

বেলা ১২টা সময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং তাদেরকে সম্মাননা পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়।

এরপর বেলা ১২টার পরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী র‌্যালিটি ঝিকরগাছা উপজেলায় রওনা হয়। যশোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল জানায়, র‌্যালিতে যশোর থেকে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঘারপাড়া, অভয়নগরসহ অন্য উপজেলার ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছেন। যশোর সদরের ৩৫ জনের সাথে চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শার পাঁচজন করে ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।