রমনা বটমূলে বহুল আলোচিত ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুল ইসলাম নাম পাল্টে হন আব্দুল করিম। গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে আসছিলেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। আগের দিন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব।
কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আত্মগোপনে থেকে ইমামতির আড়ালে ধর্মের নামে ‘বিভ্রান্তিমূলক অপব্যাখ্যা প্রচার করতেন’ এই জঙ্গি নেতা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, শফিকুর নাম পাল্টে হন আব্দুল করিম। নরসিংদীর বিভিন্ন মাদ্রাসায় এ নামে শিক্ষকতা করেন। ছদ্মনামেই ওই এলাকার একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতি করতেন।
তিনি বলেন, রমনা বটমূলে হামলার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ২০০৮ থেকে নরসিংদীতে একটি মাদ্রাসায় কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় শফিকুরের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে কমান্ডার মঈন বলেন, ২০০১ সালে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর থানাধীন বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় তিনি ‘সম্পৃক্ত ছিলেন’। বৈদ্যের বাজারে হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে শতাধিক আহত হন।
র্যাব জানায়, শফিকুর কিশোরগঞ্জে নিজের গ্রাম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকার চকবাজারের একটি মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply