বেনাপোল টু খুলনা চলাচল কমিউটার ট্রেন চালক গতি থামিয়ে খোলা মাঠের মধ্যে অবাধে পণ্য উত্তলোন নিরব ভূমিকায় রেল কর্তৃপক্ষ। স্টাফ রিপোর্টারঃ বেনাপোল টু খুলনা চলাচলরত কমিউটার ট্রেনটির চালকেরা গতি থামিয়ে অবাধে চোরকারবারীদের অবৈধ্য পণ্য উত্তলোন কালে প্রতিনিয়তো সাধারণ যাত্রী হয়রানী হলেও রেল কর্তৃপক্ষ রয়েছে দর্শকের ভূমিকায়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম সহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখা লেখী হলেও টনক নড়েনী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। বেনাপোল স্টেশন হতে ট্রেন ছাড়ার ৫ কিলো মিটার পর খোলা মাঠের মধ্যে তার গতি থামিয়ে চোরাকারবারীদের ভারত হতে আনা কালোবাজারী পন্য উত্তোলনে সহায়তা দেওয়া রেল কর্তৃপক্ষের এখন নিত্ত নৈমত্তিক ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে বেলাপোল রেল স্টেসনের দায়িত্বরত মাস্টার সাইদুজ্জামান মুঠো ফোনে জানান, বেনাপোল স্টেশন হতে ট্রেন ছাড়লে খোলা মাঠের মধ্যে তা থামার কথা না। তবে আমড়াখালী এলাকায় একটি ব্রিজ থাকায় ট্রেনের গতি কমাতে পারে। বেনাপোল হতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন প্রায়ই খোলা মাঠে দাড়ায় এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন ওটা আমার দেখার বিষয় না।
যাত্রী হয়রানির অভিযোগ জানিয়ে বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তা,পাকশী মোঃ মজিবর রহমানের নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি দুঃখজনক। জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্তা নেওয়া্ হবে।
এ ঘটনায় একাধিক যাত্রীর অভিযোগ থাকলেও আমলে নেইনী ট্রেনটির দায়িত্বরত জি আরপি পুলিশ। ওল্টো প্রতিবাদকারীদের ট্রেন পুলিশের সামনে শাসিয়েছে চোরকারবারীরা।ট্রেনটিতে ভ্রমণরত যাত্রী বেনাপোলের ফিরোজ, বসুন্দিয়ার বিউটি খাতুন সহ একাধিক যাত্রী অভিযোগ তুলে জানান,রবিবার( ১৫ইমে )সকালে বেনাপোল স্টেসন হতে খুলনাগামী ট্রেনটি ছেড়ে আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্ট এলাকা পেরিয়ে কিছু দূরে গিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্যে ট্রেন থামিয়ে দেয় চালক।বগির দু পাশ হতে তাৎক্ষনিক ভাবে মহিলা ও পুরুষ চোরাকারবারীরা তাদের চোরাই পথে আনা পন্যের চালান তুলতে থাকে। একাজে সাধারন যাত্রীদের গায়ে ধাক্কা লাগলে চোরকারবারীরা উল্টো ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশের সামনে প্রতিবাদকারীদের মারতে উদ্যত হয়।
বেনাপোলের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,দীর্ঘদীন ধরেই রেল কর্তৃপক্ষের ইন্ধনে খুলনা-যশোর ও বেনাপোলের স্থানীয় লোক যোগ সাজে একটা শক্তিশালী সিন্ডিগেট গড়ে তুলে রেলকর্তৃপক্ষ অবৈধ্য আয়ে মত্ত হয়েছে। ট্রেনের দায়িত্বরত জি আরপি পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকা পায় বলে যাত্রী হয়রানি হলেও কোন ভূমিকা নেই না।খোলা মাঠে ট্রেন থামানোয় এ রুটে চলাচলরত ছাত্রী ও মহিলা সহ সাধারন যাত্রীরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় থাকে।বর্তমানে এ রুটে চলাচলরত ট্রেনে যাত্রীর সেবামান প্রশ্নবিদ্ধ।
বিষয়টি অত্যান্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় সাধারন যাত্রীরা রেল মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতণদের দৃষ্টি আর্কষন করে দ্রুত চোরকারবারী ও অসাধু রেলকর্মকতাদের হয়রানী বন্ধ এবং যাত্রী সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জোরালো দাবী জানিয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply