নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর সিভিল সার্জন কার্যলয়ের প্রসাসনিক কর্মকর্তা (এও) আরিফের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ সেবা প্রত্যাশীরা। গুরুত্বপূর্ন এই দপ্তরের ফাইল প্রসেসিং সহ প্রায় সকল কার্যক্রমেই জিম্মিদশা তৈরী করে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ হতে দীর্ঘদীন ধরেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই অসাধু কর্মকর্তা আরিফ।সিভিল সার্জন সার্জন কার্যালয়ের এই দাপুটে কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরেই ঘুস বানিজ্যে মত্ত হয়ে অল্প সময়ে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক বনেছেন। অবৈধ্য আয়ে যশোর ও যশোরের বাইরে নিজ নামে-বেনামে কিনেছেন প্রচুর সম্পত্তি যা সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
গত সোমবার ( ১৬মে ) যশোর সিভিল সার্জন কার্যলয়ে সেবা নিতে যাওয়া মোঃ আশানুর ও শার্শা উপজেলার বেনাপোল দিঘীরপাড় গ্রামের ইদ্রিস আলী এবং আরিফের বিরুদ্ধে ঘুস বানিজ্যের অভিযোগ তুলে জানায়, সিলগালা কৃত একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার হতে যন্ত্রাংশ বের করার জন্য আবেদন নিয়ে তিনি সি এস মহোদয়ের কাছে যান। একপর্যায়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত (এও) আরিফ তাকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিবে বলে আশা প্রকাশ করে ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন। ইদ্রিস টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে চিটার-বাটপার বলে অশালীন মন্তব্য করেন। এমনকি ঐ কর্মকর্তা কোন ভাবেই ঐ ডায়গনস্টিক সেন্টার চালাতে দিবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন বলে আরো জানায়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ( এও ) আরিফের নিকট বিষয় টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয়ে ক্ষেপে গিয়ে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কল কেটে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একাধিক সুত্র ও ভূক্তভোগীরা জানান,যশোর জেলায় অবস্থিত প্রত্যেকটি ডায়গণস্টিক সেন্টার হতে তিনি মাসিক মাশোহারা আদায় করেন থাকন। চাহিদা মত মোটা অংকের টাকা নাদিলে সিভিল সার্জন কার্যলয় হতে টিম নিয়ে গিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি ছিলগালা করে দেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা শত শত ক্লিনিক ও ডায়গণষ্টিক সেন্টারের আবেদন বছরের পর বছর নানান ত্রুটি ধরেন তা অনুমোদন না দিয়েই কৃত্রিম জিম্মিদশা সৃষ্টি করে মাসিক মাশোহারা নগদ টাকা উত্তোলন করে আসছেন। দায়িত্বরত সিভিল সার্জন ও স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ঢাল হিসাবে।
ব্যাবহার করে বিপুল অঙ্কের অর্থবানিজ্যে মত্ত এই অসাধু কর্মকর্তা। যশোরের স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় দীর্ঘবছর ধরে ঘুস বানিজ্যের মত অপকর্ম করে আসলেও এ পর্যন্ত তার টিকিটির নাগাল কেও স্পর্শ করতে পারছেনা উর্ধতণ কর্মকর্তারা।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রায়ই সকল কাজেই রয়েছে বিতর্কিত কর্মকর্তা ( এও ) আরিফের হস্তক্ষেপ তাই ঘুস ছাড়া সেবা মেলেনা সেবা প্রত্যাশীদের। এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জনের সহিত যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও সাক্ষাৎ না মেলায় তার বিবৃতি জানা সম্ভব হয়নী। ভূক্তভোগীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে বিতর্কিত এ কর্মকর্তার অপসারণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি পূনঃউজ্বল করার আহবান জানায়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply