এখন থেকে প্রবাসীরা সহজেই দেশের যেকোনো ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে পারবেন। বিদেশ থেকে সেই ব্যাংক হিসাবে যেকোনো পরিমাণ আয় পাঠাতে পারবেন। আবার বিদেশ থেকে আসার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা আনলে তা-ও ওই হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। পাশাপাশি বিদেশে যাওয়ার সময় ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও ঘোষণা দিতে হবে না। তবে ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ মে ২০২২ তারিখে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় সেই বিভ্রান্তি দূর করতে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী ও অনিবাসী ব্যক্তি এ দেশে যেকোনো ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় প্রাইভেট বিদেশি মুদ্রার হিসাব বা নন-রেসিডেন্ট বিদেশি মুদ্রার আমানত হিসাব খুলে পরিচালনা করতে পারেন। বিদেশ থেকে পাঠানো বিদেশি মুদ্রা বা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসা বিদেশি মুদ্রা এই হিসাবে জমা রাখা যায়। বিদেশ থেকে আসা যাত্রী যেকোনো পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশে আনতে পারেন। সঙ্গে নিয়ে আসা বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা সমতুল্য অন্য মুদ্রা হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এসব বিদেশি মুদ্রার হিসাবের স্থিতি অবাধে টাকায় নগদায়ন করা যায়। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী/অনিবাসী ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় তাঁর হিসাবের স্থিতি থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার নোট আকারে এবং হিসাবের স্থিতি থাকা সাপেক্ষে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী/অনিবাসী ব্যক্তির নামে পরিচালিত এসব বিদেশি মুদ্রার হিসাবের স্থিতি সুদসহ অবাধে বিদেশে প্রেরণ করা যায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply