আতিক বাবু ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচার মাধ্যমে আমি অদ্যবধি কোনো আলোচনা করি নাই, যদিও আতিক বাবু গং আমি ও আমার সংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক ও উস্কানিমূলক প্রচারণা চালিয়েছে। ইতোমধ্যে আতিক বাবুর পিতার মহান মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন জনের যথেষ্ট বিতর্ক ও সংশয়মূলক বক্তব্য তুলে ধরেছেন যাহাতে উনার মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আতিক বাবু আমার কাছে যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর আহ্বায়ক হওয়ার জন্য আসে এবং আমার অতি ঘনিষ্ঠ জন যশোর জেলা সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা জনাব সাইফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে কমিটি প্রদানে তার সামনে পর্যায়ক্রমে ২০ লক্ষ টাকা প্রদানের অনৈতিক প্রস্তাব দেয়, যা শুনে সাঈফ ভাই বিব্রত বোধ করে আমাকে বলেন এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি। প্রতি উত্তরে আমি বলি আমি টাকা খেয়ে কমিটি দেই না। আমি এমনিতেই আপনাকে কমিটি দিব যদি সে সাংগঠনিক সকল নিয়ম কানুন মেনে যশোরের তৎকালীন জেলা কমান্ডার জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক কাকার সম্মতি পত্র দেন। আতিক বাবু ও তার পিতার বিষয়ে জেলা কমান্ডার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বাবুর বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন। এর কয়েক দিন পর হঠাৎ আতিক বাবুকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন কতৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্র। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি গোচর হলে আমার কমিটির সকল নেত্রীবৃন্দ এমদাদ হোসেন মতিন এর কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করে বলেন আপনি ৫০ লক্ষ টাকা ও আমেরিকা ভ্রমণের সুবিধা নিয়ে অনৈতিকভাব ও গঠণতন্ত্র পরিপন্থী কমিটি দিয়েছেন। এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে ব্যর্থ হন এবং শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে পরের দিন আলাপ হওয়ার আশ্বাস দেন। কিছুক্ষণ পরে বাবু মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রবেশ করার খবর পেয়ে সবাই উত্তেজিত হয়ে বাবু কে গণ ধোলাই দেয় এবং এক পর্যায়ে বাবু আমার পা ধরে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালে আমি তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে তাকে রক্ষা করি এবং দ্রুত চলে যাওয়ার পরামর্শ দেই। ইতোমধ্যে এমদাদ হোসেন মতিন নিচে এসে আমাকে অনুরোধ করে বাবুকে না মারার জন্য। উদ্ভুত পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় বাবু লাফ দিয়ে এমদাদ হোসেন মতিন এর গাড়িতে ঢুকে পড়ে। এমতাবস্থায় সবাই তাড়া করলে বাবুকে নিয়ে মতিন দ্রুত ভেগে যায়। এর কয়েক দিন পর বাবু বর্তমানে ক্যাসিনো ও দূর্নীতিতে গ্রেফতারকৃত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও পলাতক ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ এর ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী সহ স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও কিছু মাদক সেবকদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কার্যালায়ে প্রবেশ করে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেশ কয়েক জনকে গুরুতর আহত করে যার ফলে আমরা রমনা থানায় জিডি করি।
অতঃপর মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এম.পি কে ঘটনা জানালে তিনি আমাকে বিস্তারিত ঘটনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে জানানো সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উপদেশ দেন, সে মোতাবেক আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর প্রধান উপদেষ্টা-পৃষ্ঠপোষক জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ঘটনা জানানোর ব্যবস্থা করি ইতোমধ্যে সরকার কতৃক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সকল পর্যায়ের কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিযুক্ত হয় যা এখনও চলমান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর আতিক বাবু গং সংসদে প্রবেশের চেষ্টা চালালে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড (বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ) তাদের ঢুকতে না দিলে তখন কর্তব্যরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গেটে লাথি মারে, যার ফলে সংসদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে যার ফলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে হামলার পরে আতিক বাবু গং সংসদে প্রবেশের চেষ্টা ও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই গ্রেফতার হবে। ইতোমধ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি সভা করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি মহামান্য হাইকোর্টে রিট করি, যা এখন পরিপূর্ণ শুনানির অপেক্ষায়।
আতিক বাবুর কমিটির ০৩ জন সাধারণ সম্পাদক যা হাস্যকর এবং অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ও সে পদায়িত করেছে যা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর গঠনতন্ত্র ও সন্তান কমান্ডার নীতিমালা বহির্ভূত। আতিক বাবু গং কতৃক দাবি কৃত সংগঠনটি এখন ০৪ টি ভাগে বিভক্ত। ইতোমধ্যেই ০৩ টি অংশের লোক আমার সাথে যোগাযোগ করেছে এবং আমি তাদের প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের মধ্যে যে বা যারা বিভক্তি তৈরী করেছে তাদের হতে সাবধান থেকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ করেছি ।
আতিক বাবুর কমিটিতে সবাই অমুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয় এবং যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের অনেকেই পরিস্থিতির স্বীকার ও নির্দোষ। তাই আতিক বাবুর সাথের সকলকে ঢালাও ভাবে দোষারোপ করা ও তাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। মনে রাখবেন সকল প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা আমাদের ভাই- বোন তাই তারা যদি কোনো ভুল করে /বিভ্রান্তিতে পড়ে /ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয় তাহলে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একত্রিত হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আগামী ২৭ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার, সকাল ০৯ টায, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন দক্ষিণ প্লাজায় অতীতের ন্যায় সমবেত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
মেহেদী হাসান
সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply