নিজস্ব প্রতিনিধি যশোর। দেশজুড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চালানো অবৈধ্য তথা নিবন্ধনহীন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিয়ম বহিভূর্তভাবে পরিচালিত বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়গণস্টিক সেন্টার বন্ধের অভিযানের মুখেও থেমে নেই শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় অবস্থিত আলমদিনা ক্লিনিকের রমরমা ব্যাবসা। অস্বাস্থ্যকর নোংড়া পরিবেশ, সার্বক্ষনিক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়াই ক্লিনিক পরিচালনা, অদক্ষ নার্স ও টেকনিয়াস দিয়েই ডায়গণস্টিক কার্যক্রম পরিচালনা, অনুমোদনের বাইরে ক্লিনিকে একাধিক রোগী ভর্তিসহ বিবিধ অনিয়মের মধ্য দিয়েই ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে অল্পসময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন প্রতিষ্ঠানএর মালিক। সিজার পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ঔষধের স্থলে কম দামের ঔষধ প্রয়োগকরে রোগী ঠকানোরমত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে গত বৃহষ্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অনুসন্ধানীদল সরেজমিনে গিয়ে নোংড়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সত্যতা পাই ও তা ক্যামেরায় ধারন করে।এ সময় ক্লিনিকে কোন ডিগ্রিধারী ডাক্তার পাওয়া যায়নী বলে জানা গেছে। ক্লিনিকটিতে ভর্তিরত রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানাই সপ্তাহে ২দিন বড় ডাক্তার আসেন বাকী চিকিৎসা নার্সরা দেখেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সটকে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ ক্লিনিকে চিকিৎসারত এক রোগী জানান, এখানে রোগী সেবা কার্যক্রম অত্যান্ত নিন্মমানের। ভর্তি হওয়ার সময় অনেক সুবিধার প্রলোভন দেখালেও সিজার শেষ হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এক প্রকার জিম্মিকরে চুক্তির দ্বিগুন টাকা হাতিয়ে নেয়। অভিযোগের বিষদ জানিয়ে বিবৃতি নিতে মুঠোফোনে প্রতিষ্ঠানএর মালিকের সাক্ষাত চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রকাশ না করেতে মুঠোফোনে নিজে ও লোকমারফত যোগাযোগ করেন বলে আরো জানা যাই। স্থানীয়রা জানান,অব্যবস্থপনা ও নিবন্ধনহীনভাবে ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনার দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হলেও পরবর্তীসময়ে স্থান পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করেছেন আলমদিনার স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী জানান স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছিলো। পরবর্তী সময়ে নিবন্ধনের আবেদন করলে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরতরা প্রতিষ্ঠানটি ইনেস্পেকশন করেছিলো বলে জানা আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নিদের্শনার ব্যতিতো ঘটিয়ে কোন ক্লিনিক বা ডায়গনস্টিক সেন্টার কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গনমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিল্পব কান্তি বিশ্বাস জানান, অনুমোদনহীন এবং অভিযুক্ত সকল বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়গণস্টিক সেন্টারে স্বাধ্যঅধিপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক অভিযান চলছে ও তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply