১২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের পাশ্বে মধুরিমা হোটেলে মওলানা ভাসানীর কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সভাপতি স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ। বক্তব্য রাখেন জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিকক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন, মওলানা ভাসানী গণমানুষের নেতা ছিলেন আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মওলানা ভাসানীকে তার রাজনৈতিক ভূমিকাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি জোর দাবি জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, মওলানা ভাসানী কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষে লড়াই করেন। তার জীবনে কোন প্রত্যাশা ছিল না, প্রত্যাশা ছিল গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দাবি জানাই, মওলানা ভাসানীকে সাংবিধানিক ভাবে অন্তর্ভূক্ত করা এবং পাঠ্যপুস্তকে তার রাজনৈতিক ভূমিকাকে লিপিবদ্ধ করা হোক। তিনি আরো বলেন, আফ্রো এশিয়ার ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর কারাবরণ দিবস উপলক্ষে ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর আয়ুব খান সামরিক জান্তার আবিরভাবে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী প্রতিবাদ করতে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তানী আইয়ুব সামরিক জান্তান ১২ অক্টোবর তাকে মির্জাপুর হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করেন এবং চার বছর তিনি কারবরণের স্বীকার হন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪’র হক ভাসানীর নির্বাচনে তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
১৯৬৮-৬৯’র গণআন্দোলনে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭১’র ১০ই এপ্রিল প্রবাস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। মওলানা ভাসানী দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করেন।
মওলানা ভাসানীর সঠিক ইতিহাসকে পর্যালোচনা করে তাকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্ঠা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply