ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়: নুনের বাঁধন খুব মজবুত। কারোর কাছে নুন খেলে তার গুণ গাইতেই হবে অথবা নমক হারাম বলা হবে। নুন রান্নাঘরের সব থেকে সুস্বাদু ,খাদ্য গুণে ঠাসা। প্রাত্যহিক জীবনে বহুল ব্যবহৃত লবণের ব্যবহার কবে শুরু হলো? কোথা থেকে এর জন্ম? এই ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় হাজার হাজার বছর আগে থেকে মানুষ লবণের ব্যবহার শুরু করে। সেই লবন ছিল প্রাকৃতিক ও খনিজ জাত লবন। সেই লবণ আজকের যুগের সাগরের জল পরিশুদ্ধ প্রক্রিয়া জাতকৃত নয়। হলচীনের সানশি প্রদেশের ইয়ানচুনে এক প্রাচীন খনি থেকে মানুষ মাটি খুঁড়ে লবণ বের করতো। বর্তমানে তুরস্কো, পোল্যান্ড সহ আরো কিছু দেশে লবণের খনি আছে। প্রায় ৬ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ বছর আগেও মানুষ খনি থেকে লবণ তুলতে পারত। খাওয়ার জন্য যে লবণ ব্যবহার করা হয় তার বেশির ভাগই আসে সমুদ্রের লবণ থেকে। সাধারণ লবণ দেখতে সাদা হলেও খনি থেকে তোলা লবণ বিভিন্ন ধরনের রং হতে পারে। ভারতে বেশিরভাগ কালো লবণ পাওয়া যায় পৃথিবীর অনেক দেশে খনিজ ও লবণ পাওয়া যায়। সমুদ্রের পরিশোধিত লবণ মূলত সাদা। লবণের মধ্যে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড, আয়রণ, সাল্ফার কম্পাউন্ড। সমুদ্র থেকে যে লবণ পাওয়া যায় তা এক বিশেষ প্রক্রিয়া দ্বারা পরিশোধিত। বড় বড় জমিতে সমুদ্রে জোয়ারের জল বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা হয়। সেই জল সূর্যের আলোতে বাষ্প হয়ে যায় আর নিচে লবণ পড়ে থাকে। সেই লবণ পরিশোধিত করে ব্যবহার করা হয়।
নুনজল দিয়ে ঘর মুছলে বাড়ির শান্তি বজায় থাকে, সমৃদ্ধি বাড়ে। ত্বকে যেকোনও র্যাশ কমাতে নুন সাহায্য করে। নুন জলে ডিম ডোবালে ডিমের সতেজতা বোঝা যায়। নুনজলে গার্গিল করলে গলা ব্যথা খুশখুশে কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। সিঙ্ক থেকে দাগ ওঠাতে নুন সাহায্য করে। বাস্তু শাস্ত্র মতে নুন দিয়ে ঘর মুছলে গ্রহ শান্তি হয়। ঘরে রোগ জীবাণুনাশ হয়,নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। মঙ্গলবারে নুন দিয়ে ঘর মোছা উচিত না। স্নান করার সময় জলে সামান্য নুন দিলে শরীর চাঙ্গা হয়ে যায় ও ক্লান্তি দূর হয়। নুন জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখলে শরীর সুস্থ বোধ হয়। ঘরের প্রতিটি কোণায় এক বাটি জলে নুন কিছুক্ষণ রাখার পর বেসিনে ফেলে দিতে হয় তাতে নেগেটিভ এনার্জি ঘরে ঢুকতে পারবে না। জীবনে সুখ বজায় থাকবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply